<p>শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পাঁচ দিন আগে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় মিলেছে। লাশটি বন্দরের চৌরাপাড়ার সবজি বিক্রেতা মজনু শেখের ছোট মেয়ে মুনমুন আক্তারের। সে একই উপজেলার কাজী নজরুল ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তাকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ট্রলারচালক রাসেল মিয়া গতকাল রবিবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য দিয়েছে। আগের দিন শনিবার পুলিশ রাসেল ও তার বন্ধু নেছার আলীকে গ্রেপ্তার করে। নেছারকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আদালত সূত্রে জানা যায়, রাসেল সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী মিরপাড়া এলাকার আমিরুলের ছেলে। সে চিত্তরঞ্জন ঘাটের ট্রলারচালক। নদীতে ট্রলার চালাতে গিয়ে মুনমুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রায়ই মেয়েটিকে ট্রলারে নিয়ে ঘুরত রাসেল। এতে রাসেলের বন্ধুদের চোখে পড়ে মুনমুন। ১৭ এপ্রিল রাসেলের কথা বলে নেছার আলী বাসা থেকে মুনমুনকে চিত্তরঞ্জন ঘাটে ডেকে নেয়। পরে পাঁচ বন্ধু একটি নৌকায় মুনমুনকে উঠিয়ে শীতলক্ষ্যার মাঝখানে নিয়ে ধর্ষণ ও  হত্যা করে।</p>