<p>কুড়িগ্রামের রাজীবপুরের মিয়াপাড়া সীমান্তে জেনারেটরের সাহায্যে বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করে বুনো হাতি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ভারত থেকে নেমে আসা বুনো হাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সীমান্তবাসী ওই ফাঁদ তৈরি করে। তবে বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করে হাতি হত্যার বিষয়টি মিয়াপাড়া গ্রামবাসী ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। রবিবার রাতে ওই হাতি হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার নম্বর ১০৭২-এর কাছে মিয়াপাড়া সীমান্তে।</p> <p>সরেজমিনে দেখা গেছে, মরা হাতিটি নো-ম্যান্স ল্যান্ডে পড়ে আছে। এ সময় অসংখ্য নারী-পুরুষ ভিড় করেছে মরা হাতি দেখার জন্য। হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা ভোর থেকে হাতির কাছে অবস্থান নেয়। উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, হাতিটিকে মারা হয়েছে। মারার পর হাতিটির দুটি কান কেটে নেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে জেনারেটরের বৈদ্যুতিক ফাঁদের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। হাতিটি মারা যাওয়ার পর পরই বৈদ্যুতিক ফাঁদ ও জেনারেটর সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।</p> <p>ঘটনাস্থল মিয়াপাড়া সীমান্তের ওপারে ভারতের বালুরঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে। যার চিহ্ন স্পষ্ট হাতিটির পুড়ে যাওয়া শুঁড়। এ ব্যাপারে ভারতের কালাইরচর বিএসএফ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর জেন্টালি বিসওয়াস বলেছেন, হাতিটিকে যে মারা হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিষয়টি আমাদের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে তদন্ত করার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p>এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বালিয়ামারী বিজিবি ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার মোরশেদুল হক জানান, যেহেতু মরা হাতিটি নো ম্যান্স ল্যান্ডে সে কারণে আমরা কিছু বলতে পারছি না। হাতিটিকে মারা হয়েছে, না অসুস্থ হয়ে মরেছে সে বিষয়েও আমরা কিছু বলব না।</p> <p>রৌমারী ও রাজীবপুর অঞ্চলের বন কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে যেটা দেখা গেছে, তাতে হাতিটিকে মারা হয়েছে। কারা এ কাজটি করেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার জানান, মরা হাতিটি যে স্থানে রয়েছে সেটা নো ম্যান্স ল্যান্ড বা ভারতের অংশে।</p> <p>উল্লেখ্য, কয়েক দিন ধরে ভারত থেকে নেমে আসা বুনো হাতির দল দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করছে। মাখনের চর সীমান্তে বাংলাদেশি জনবসতিতে হামলা করে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে।</p>