<p>স্থূলতা এখন ডায়াবেটিসের মতোই ভয়ংকর। তাই ওজন কমানো স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে অতি জরুরি কাজের একটি। আধুনিক মানুষদের তাই শরীরচর্চা কেন্দ্রে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। সুঠাম দেহের অধিকারী হতেও অনেকে জিমে যায়। তাদেরও লক্ষ্য থাকে ওজন যেন না বাড়ে। তবে অতি আগ্রহীদের জন্য দুঃসংবাদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।</p> <p>গোটা দেহের জন্য দারুণ কিছু ব্যায়ামের সমন্বয় শিখিয়ে দেয় জিমনেসিয়াম। সেখানে স্কোয়াটস, ট্রেডমিল, ক্রস ট্রেইনার, ওয়েটস, পুল-আপ এবং আরো অন্য যন্ত্রপাতির ব্যায়াম দেখিয়ে দেয়। সেখানে নিয়ম মেনে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যায়াম করলে অবশ্যই ওজন কমে। তার অর্থ এই নয় যে প্রতিদিন সেখানে গিয়ে আপনাকে ব্যাপক ব্যায়াম করতে হবে। অনেকেই সেখানে গিয়ে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে সময় দেন। এতে দ্রুত ওজন কমছে বলে মনে হয়। কিন্তু প্রতিদিন দুই ঘণ্টা বা তারও বেশি ব্যায়াম করলে কী ঘটতে পারে তা জেনে নিন।</p> <p>১.         ব্যায়ামের একটা প্রভাব আছে বিপাকক্রিয়ায়। বেশি করলে দেহের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যত বেশি ব্যায়াম, ক্ষতির শঙ্কা তত বেশি। এভাবে ব্যায়াম করতে থাকলে একটা পর্যায়ে আপনার ওপর ভর করবে অবসাদ। প্রতিদিন নিজেকে ক্লান্ত মনে হবে।</p> <p>২.         একপর্যায়ে আপনার দেহে ক্লান্তি যেন স্থায়ীভাবে ভর করবে। সব সময় দুর্বল লাগতে শুরু করবে। সব কিছুতে বিরক্তি চলে আসবে। এর মধ্যে যদি ঘাম ঝরানোর পর পর্যাপ্ত পানি না পান করেন তাহলে তো অসুস্থ হতে সময় লাগবে না।</p> <p>৩.        হঠাৎ বুঝবেন, আপনার ওজন আর কমছে না। শরীরে দুর্বলতার কারণে ওজন কমার প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে ওজন আর কমতে থাকবে না।</p> <p>৪.         পেশিগুলো খুবই দুর্বল হয়ে পড়বে। অতিমাত্রায় ব্যায়ামের কারণে পেশিতে ব্যাপক চাপ পড়ে। পেশির টিস্যু ছিঁড়ে যাওয়া বা আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা অনেক বাড়ে।</p> <p>৫.         সব সময় ক্ষুধা লেগে থাকবে। কাজেই খেতে হবে। এতে খাদ্যগ্রহণ অনেক বেশি হয়ে যাবে। ফলে ওজন কমার কোনো কারণ নেই। ক্ষুধা থাকলে খেতে হবে। কাজেই ওজন বাড়তেই থাকবে। ক্যালরি দেহে যত জমবে তত বেশি ভারী হবে দেহ। কাজেই অতি ব্যায়ামের কুফলের কথা মনে রাখতে হবে।</p> <p>টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে <strong>সাকিব সিকান্দার</strong></p>