<p>সার্ধশত বার্ষিকী (১৫০ বছর পূর্তি) উদ্‌যাপন উপলক্ষে ৫০ গুণীজনকে সংবর্ধনা দিয়েছে শেরপুর পৌরসভা। ১৮ নভেম্বর রবিবার বিকেলে স্থানীয় শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মঞ্চে সার্ধশত বার্ষিকী উদ্যাপন মঞ্চে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে। গুণীজন সংবর্ধনাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শেরপুরের প্রথম ১২ যুবক, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিককর্মী, সাবেক পৌর মেয়র এবং জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। এ সময় সংবর্ধিত গুণীজনদের হাতে পৌরসভার সার্ধশত বার্ষিকীর স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।</p> <p>শেরপুর পৌরসভার গৌরবের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছয় মাসব্যাপী উৎসব চলবে। দুই দিনব্যাপী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শনিবার দুপুরে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে শুরু হয়। পায়রা উড়িয়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম ও নৌপরিবহন সচিব মো. আব্দুস সামাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। রাতে বর্ণিল আতশবাজি উৎসবের পাশাপাশি ক্লোজআপ ওয়ান শিল্পীদের অংশগ্রহণে গানের আসর বসে।</p> <p>দেড় শ বছর পূর্তিতে শেরপুর টাউন সেজেছে নতুন সাজে। শহরজুড়ে তোরণ নির্মাণ, রাস্তার দুই ধারে নানা রঙের পতাকা ও ফেস্টুন-ব্যানারে শোভাবর্ধন এবং ভবন-মার্কেটগুলোয় আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে শেরপুর টাউন। আগামী বছরের এপ্রিল মাসে বর্ণাঢ্য সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দেড় শ বছরপূর্তি উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। ১৮৬৮ সালের ১ এপ্রিল শেরপুর পৌরসভার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল।</p>