জমির বিরোধ নিয়ে শেরপুর শহরের মীরগঞ্জ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক পৌর কাউন্সিলর বিএনপি নেত্রী নূরজাহান বেগম ও যুবলীগ নেতা আব্দুল খালেকসহ চারজন আহত হয়েছে। আহত নূরজাহান বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং আব্দুল খালেককে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ শেরপুর সদর থানায় আলাদা অভিযোগ করেছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ধরতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে মীরগঞ্জ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মীরগঞ্জ এলাকার একখণ্ড জমি নিয়ে নূরজাহান বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী ফজু মিয়ার বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত রবিবার সন্ধ্যায় ফজু মিয়ার সঙ্গে নূরজাহানের মেয়ে রূপনার কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় ফজু মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা আব্দুল খালেক সেখানে এগিয়ে গেলে দুজনের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ফজু মিয়ার ছেলে খালেক, কুদ্দুছ, মালেক ও রিয়নের নেতৃত্বে শতাধিক যুবক দা, লাঠি, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মীরগঞ্জ এলাকায় নূরজাহান, রূপনা ও সোহাগী এবং বারাকপাড়া এলাকায় অবস্থিত হাসি বেগম ও রোজীর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে নূরজাহানের মেয়ে সোহাগী ও রোজী আহত হন। একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল খালেককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি আহত হন। তাঁকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে বিএনপি নেত্রী নূরজাহান বেগমকে শহরের বটতলা মোড়ে একা পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে। রাতেই তাঁকে প্রথমে জেলা হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপি নেত্রী নূরজাহান বেগম অভিযোগ করেন, ‘স্থানীয় বিরোধের জের ধরে ফজু মিয়ার ছেলে খালেকের নেতৃত্বে তাঁর সহযোগীরা আমার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। পরদিন রাতে শহরে আমাকে একা পেয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে।’
এদিকে নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে গত তাঁর ও তাঁর মেয়েদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে মীরগঞ্জ এলাকার ফজু মিয়ার ছেলে কুদ্দুছ, খালেক ও মালেকসহ ১১ জনের নাম সুনির্দিষ্ট করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৮০-৯০ জনকে হামলা-ভাঙচুরের জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আহত যুবলীগ নেতা আব্দুল খালেক জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে নামাজ পড়ার প্রাক্কালে মসজিদের সামনে নাজেহাল করা অবস্থায় তাঁকে রক্ষার জন্য এগিয়ে যাওয়া মাত্রই ধারালো ক্ষুর ও লাঠিসোঁটা নিয়ে নূরজাহান বেগমের মেয়েরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে আহত করেছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...