<p>বামপন্থী আটটি দল মিলে ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর পল্টনে মুক্তি ভবনে জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।</p> <p>সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন ও বাসদ (মার্ক্সবাদী) মিলে এই জোট গঠন করা হয়েছে। জোটের সমন্ব্বয়ক করা হয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে।</p> <p>জোটের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্যরা হলেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খান, বাসদ (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ও ফখরুদ্দিন কবির আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্ব্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশররফ হোসেন নান্নু ও কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও কেন্দ্রীয় নেতা মমিন উর রহমান বিশাল, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক ও কেন্দ্রীয় নেতা রণজিত কুমার।</p> <p>সাইফুল হক জানান, জোটের শরিক দলগুলোর মধ্য থেকে তিন মাস অন্তর একজন করে সমন্ব্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘নির্বাচনকে যে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে এর বিরুদ্ধে আমরা একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। নির্বাচন কমিশনসহ যেসব জায়গায় প্রয়োজন সেখানে লাগাতার অবরোধসহ শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এসব কর্মসূচি ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে না, সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।’</p> <p>সরকারের সঙ্গে থাকা বাম দলগুলো এই জোটে আসতে পারবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, ‘প্রকৃত বামপন্থীরা রাজপথে নামলে পরে মিলিতভাবে জোটকে আমরা আরো সম্প্রসারণ করব। কিন্তু যারা শাসক শ্রেণির সঙ্গে, এই ফ্যাসিস্ট দুঃশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, তারা আমাদের এই চিন্তা বা আহ্বানের আওতাভুক্ত নয়। আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধেও।’</p> <p>নতুন জোটের পক্ষ থেকে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সরকারের নির্যাতন, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে আগামী ২৪ জুলাই ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ রয়েছে। এ ছাড়া ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবিতে আগামী ৪ আগস্ট মতবিনিময়সভা করা হবে। আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে আগামী ১০ ও ১১ আগস্ট ছয়টি বিভাগীয় শহর যথাক্রমে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী এবং রংপুরে জনসভা ও মিছিল করা হবে।</p>