<p>হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হাব। গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তারা বিমান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই দাবি জানায়। একই সঙ্গে সংগঠনটির নেতারা বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনসের বাইরে অন্য বিমান এজেন্সিকেও হজযাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। জবাবে বিমানমন্ত্রী শাহজাহান কামাল তাদের বিষয়গুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন। তবে এ বছর বিমান ভাড়া আপাতত কমানোর সুযোগ কম বলেও জানান মন্ত্রী।</p> <p>এদিকে এ বছর ১৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। এরই মধ্যে সরকারি বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ ভিসা প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। সৌদি সরকার হজযাত্রীদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে। এই ভিসা পাসপোর্টের সঙ্গে লাগানো থাকে না। কাগজে প্রিন্ট করে দেবে। ফলে হজযাত্রীদের এটি আলাদা সংরক্ষণ করতে হবে। এবার ই-ভিসা ও পাসপোর্ট বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ কাউন্টারে দেখাতে হবে।</p> <p>অনুষ্ঠানে বিমানমন্ত্রী শাহজাহান কামাল বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন যাত্রী হজে যাবে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবে সাত হাজার ১৯৮ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবে এক লাখ ২০ হাজার জন। নির্দিষ্ট আকার ও জাতীয় পতাকাখচিত পলিব্যাগ ও কিটব্যাগ হজযাত্রীদের নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় কিনতে হবে।</p> <p>বিমানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজ আছে। প্যাকেজ ১-এর জন্য দিতে হবে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। আর প্যাকেজ ২-এর জন্য লাগবে তিন লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা। এর মধ্যে বিমান ভাড়া এক লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা।</p> <p>শাহজাহান কামাল জানান, ২০১৭ সালে হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ১৯৩টি এজেন্সির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব পর্বে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে ৬৪টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে ও জরিমানা করা হয়েছে। ১৭টি এজেন্সির লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।</p>