<p>রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সামরিক জীবনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ সবাইকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখে, পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, দক্ষতা বাড়ায়, সর্বোপরি আনুগত্য বাড়ায়। বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর। বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীতে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামাদি। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুুনিকায়নে বর্তমান সরকার বেশ কিছু যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গতকাল বুধবার সৈয়দপুর সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>নীলফামারীর সৈয়দপুর সেনানিবাসে গতকাল পঞ্চম ইএমই কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সকালে শহীদ ক্যাপ্টেন নুরুল আবছার প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে সীমিত সম্পদ দিয়ে জাতির পিতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠনে উদ্যোগী হন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই সেনাবাহিনীর গোড়াপত্তন। সেই সামরিক বাহিনী আজ একটি চৌকস, দক্ষ ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনীতে নতুন নতুন সরঞ্জামাদি প্রবর্তন করা হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এসব আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম মেরামত করতে গিয়ে ইএমই কোরের পেশাগত চ্যালেঞ্জ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই কোরের সব সদস্যকে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।</p> <p>রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ যেকোনো জাতীয় সমস্যা মোকাবেলায় সেনাবাহিনী তার যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। সেখানে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা, চিকিৎসাসেবাসহ বিভিন্ন কাজে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের ভাবমূর্তিকে আরো উজ্জ্বল করে তুলেছে সেনাবাহিনী।</p> <p>পুনর্মিলনী প্যারেডের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রশিক্ষণ এলাকায় একটি আমগাছ রোপণ করেন। তিনি ইএমই কোরে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এবং শহীদ পরিবারবর্গের সঙ্গে প্রীতিভোজে অংশ নেন।</p>