বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদি হালতা গ্রামে কিশোরী সোনিয়া আক্তারকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে অবশেষে মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে চারজনকে। ভিকটিমের পাশের বাড়ির বাসিন্দা এসব আসামিকে পুলিশ এখন খুঁজে পাচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে তারা লাপাত্তা।
চরাদি ইউনিয়নের খান বাড়ির মেয়ে সোনিয়া আক্তার গত ২৭ ডিসেম্বর সকালে ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। স্থানীয় শেরেবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এ ছাত্রীকে পাশের বাড়ির চাচা-সম্পর্কীয় আসাদ খান ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ মেলে। অগ্নিদগ্ধ সোনিয়া গত রবিবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি এস এম মাসুদুজ্জামান বলেন, ভিকটিমের পরিবার তাত্ক্ষণিকভাবে পুলিশকে কিছু জানায়নি। কিশোরীর মৃত্যুর পর সংবাদকর্মীরা ঘটনাটি জানান। তখন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপানে থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে সোনিয়ার মা বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে পাশের বাড়ির আসাদ খান, তার বাবা মোশারেফ হোসেন ওরফে পান্নু খান, ছোট ভাই আরিফ খান ও মামাতো ভাই তারেককে। ধর্ষণ, আত্মহত্যা প্ররোচনাসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। পুলিশের একাধিক টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে অভিযুক্তরা নিজ বাড়ি তালা দিয়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে আছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের