<p>বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরে তিন লাখ ৫৯ হাজার ২৬১টি পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদ পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে এসব তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।</p> <p>গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক সদস্যের প্রশ্নের জবাব দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী। জবাবে সংসদকে জানানো হয়, বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরে প্রথম শ্রেণির (গ্রেড-৯ থেকে তদূর্ধ্ব) ৪৮ হাজার ২৪৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির (দশম থেকে ১২তম গ্রেড) ৫৪ হাজার ২৯৪টি, তৃতীয় শ্রেণির (১৩-১৭তম গ্রেড) এক লাখ ৮২ হাজার ৭৩৭টি এবং চতুর্থ শ্রেণির (১৮-২০তম গ্রেড) ৭৩ হাজার ৯৮৪টি পদ শূন্য রয়েছে। সরকারি অফিসগুলোতে শূন্য পদে লোক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও সংস্থাগুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকমিশনের মাধ্যমে অষ্টম, নবম ও ১০-১২ গ্রেডের অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে জনবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা জনবল নিয়োগ করে থাকে।</p> <p>স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট কমে আসায় বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি ও ২৩-২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে থাকে। আর সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। সে হিসাবে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য ছয়-সাত বছর সময় পেয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক-দুই বছর লাগলেও তা গণনা করা হয় না।</p> <p>মন্ত্রী জানান, চাকরি থেকে অবসরগ্রহণের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে, তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। তাই বয়স বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।</p>