<p>নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের হলফনামা দাখিলের বিধান বাতিলের সুপারিশ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে একটি রাজনৈতিক দলের এই অভিমতের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার এ উদ্বেগ জানায় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।</p> <p>নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের হলফনামা দাখিলের বর্তমান বিধানটি বাতিল চেয়েছে ক্ষমতাসীন সরকারের অংশীদার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে গত ৮ অক্টোবর সংলাপে সমাজতান্ত্রিক দলটি ১৭ দফা সুপারিশের মধ্যে এ দাবি রয়েছে। হলফনামা বিধান বাতিলের দাবিকে ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিপন্থী’ উল্লেখ করে জাসদের অবস্থান পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।</p> <p>দলটির দাবিকে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতার অন্তরায় উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা যখন শপথ নিয়ে তাঁদের সম্পর্কে কোনোও তথ্য নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেন, তখন তার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়। অন্যদিকে যখন কোনো প্রার্থী তাঁর সম্পর্কে তথ্য প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করেন, তা প্রকারান্তরে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক করে ও জনগণের কাছে তাদের প্রতিনিধিদের সম্পর্কে আস্থার সংকটের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।’</p> <p>নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে এ ধরনের অযাচিত প্রস্তাবের প্রতি কোনো গুরুত্ব প্রদান না করা। পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা হলফনামায় যেসব তথ্য প্রদান করবেন, আইন অনুযায়ী তা যাচাই-বাছাই করে কমিশনের ওয়েবসাইটে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা।’ এ ছাড়া কোনো প্রার্থীর হলফনামায় প্রদত্ত তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার অমিল খুঁজে পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণাসহ সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবি জানান তিনি।</p> <p>উল্লেখ্য, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে আট ধরনের তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।</p>