<p>ইন্টারনেটে স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়েছে। তবে গতবারের মতো এবারও বাংলাদেশের নাম রয়েছে ‘আংশিক স্বাধীন’ দেশের তালিকায়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষক ও গবেষণা সংস্থা ‘ফ্রিডম হাউস’ এ তথ্য দিয়েছে। তাদের মতে, মুক্তমনা লেখকদের ওপর হামলা বাংলাদেশে ইন্টারনেটের স্বাধীনতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।</p> <p>৬৫টি দেশের ওপর জরিপটি চালায় ‘ফ্রিডম হাউস’। জরিপ শেষে গত সোমবার ‘ফ্রিডম অন নেট ২০১৬’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে তারা। সেখানে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫৬। এই সূচকে যে দেশের স্কোর যত বেশি হবে, সে দেশে ইন্টারনেটের স্বাধীনতা তত কম।</p> <p>‘ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের স্কোর ১৪। এই ক্যাটাগরিতে ‘শূন্য’কে সবচেয়ে ভালো এবং ২৫ স্কোরকে সবচেয়ে খারাপ ধরা হয়। ‘বিষয়বস্তুতে বিধিনিষেধ’ ক্যাটাগরিতে একই স্কোর (১৪) পেয়েছে বাংলাদেশ, যেখানে ৩৫ হলো সবচেয়ে খারাপ স্কোর। ‘ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন’ ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে খারাপ স্কোর ৪০; সেখানে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৮ পয়েন্ট। এই মোট ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশ (১৪+১৪+২৮) ৫৬ পয়েন্ট পেয়ে ‘আংশিক স্বাধীন’ দেশের তালিকায় রয়েছে।</p> <p>প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশের শুরুতেই বলা হয়েছে, জরিপের সময়সীমার মধ্যে বাংলাদেশে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর ধর্মীয় মৌলবাদীদের হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আর এসব হামলার কারণেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ইন্টারনেটের স্বাধীনতার ওপর। প্রতিবেদনে ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়, প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও জুলহাজ মান্নানের হত্যার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া উল্লেখ করা হয় সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলার বিষয়টিও। গত বছরের নভেম্বরে ফেসবুকসহ পুরো ইন্টারনেট সাময়িক বন্ধ রাখার বিষয়টিও জরিপের ক্ষেত্রে আমলে নিয়েছে ফ্রিডম হাউস।</p>