<p>রাজধানীর ধানমণ্ডির একটি বাসা থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে আব্দুল হালিম চৌধুরী পাপ্পু নামের এক বৃদ্ধের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর স্বজন ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পাপ্পু (৬৫) দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার ও কিডনির জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন কষ্ট ভোগ করার পরও চিকিৎসকদের কাছ থেকে কোনো আশ্বাসবাণী না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশ মৃত্যুর সঠিক কারণ যাচাই করতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।</p> <p>গতকাল শুক্রবার দুপুরে হাজারীবাগের ট্যানারি মোড়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান দিনমজুর খায়রুল (৩০)। তাঁর সহকর্মী রিয়াদ জানান, তাঁরা বাসা পাল্টানোর কাজ করছিলেন। ওই সময় রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে খায়রুল আহত হন। দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।</p> <p>রাজধানীতে গতকাল ও আগের দিন রাতে আলাদা ঘটনায় আরো তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলো কিশোরী সাজু আক্তার (১৩), গৃহবধূ শামছুন্নাহার (২৭) ও অচেনা এক ব্যক্তি।</p> <p>ধানমণ্ডি থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ধানমণ্ডি ৯/১ নম্বর রোডের ১৩২ নম্বর বাড়ির পাঁচতলার বাসা থেকে পাপ্পুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পাপ্পু দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, নিজের লাইসেন্স করা পিস্তলটি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।</p> <p>নিহত পাপ্পুর ভাই তারেক ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার ও কিডনির রোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তাঁর ভাই। একাধিকবার চিকিৎসা নিলেও সুস্থ হননি তিনি। তিনি বাঁচবেন না বলে চিকিৎসকরা সর্বশেষ তাঁকে জানিয়ে দেন। এতে তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। হতাশা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ রুমে লাইসেন্স করা পিস্তল কপালে ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। বাসার লোকজন গুলির শব্দ শুনে অন্য কক্ষ থেকে দৌড়ে গিয়ে দেখে, তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় বসার ঘরে পড়ে আছেন। পাশে পিস্তলটিও পড়ে আছে।</p> <p>পাপ্পুর বাবা মৃত ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মমিন চৌধুরী। স্ত্রী নাজমা আক্তার নাজনীন ও দুই ছেলেকে নিয়ে পাপ্পু চৌধুরী ধানমণ্ডিতে ওই বাসায় থাকতেন।</p> <p>পুকুরে ডুবে কিশোরীর মৃত্যু : শেরেবাংলানগর থানার এসআই নূর-ই-আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আগারগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পাশের পুকুর থেকে কিশোরী সাজু আক্তারের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সাজু পুকুরে হাত-মুখ ধুতে গিয়ে পানিতে পড়ে ডুবে যায়। সাজু তার পালিত মা-বাবা মাহবুবুল আলম ও তানিয়া পারভীনের সঙ্গে ১১৭ নম্বর পশ্চিম আগারগাঁও এলাকায় থাকত। তানিয়ার ভাই হেলাল উদ্দিন জানান, আট বছর আগে তানিয়া ও মাহবুব বাণিজ্য মেলায় পেয়েছিলেন সাজুকে। সম্ভবত সাজু তার মা-বাবার সঙ্গে মেলায় এসে হারিয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি তখন পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু তার মা-বাবার খোঁজ না পাওয়ায় সাজু ওই বাসায় থেকে কাজ করত।</p> <p>ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেলেন গৃহবধূ : ঢাকা রেলওয়ে থানার এসআই আলী আকবর জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্টের মাঝামাঝি রেললাইন থেকে শামছুন্নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। তিনি স্বামী রিপন মিয়ার সঙ্গে ভাটারা এলাকায় থাকতেন। রিপন জানান, শামছুন্নাহার খিলক্ষেতে তাঁর ভাবির বাসায় যাওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান।</p> <p>অচেনা ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার : গতকাল সকালে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোড থেকে অচেনা এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিমানবন্দর থানার এসআই গোলাম আজম জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।</p>