<p>কমিশন বৃদ্ধি ও ইজারা মাসুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ১২ দফা দাবি আদায়ে এবার সরকারকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিকরা। এ সময়ের মধ্যে দাবিগুলো মানা না হলে ৩০ অক্টোবর থেকে দেশের সব পেট্রল পাম্পে লাগাতার ধর্মঘট শুরুর হুমকি দিয়েছে তারা।</p> <p>গতকাল বুধবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতারা এ হুমকি দেন।</p> <p>পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, ‘আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিসহ ১২ দাবি পূরণের দাবি জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হলে ৩০ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে সারা দেশের পেট্রল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন করা হয়নি। এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।’</p> <p>মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, দাবিদাওয়া পূরণের বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে মন্ত্রণালয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। একাধিকবার ধর্মঘট করলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। বরং বিভিন্ন সময় তাদের অপমান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আমাদের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছেন। এটি আমাদের ব্যথিত ও হতাশ করেছে।’ এ ধরনের ধর্মঘটে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে জেনেও দাবি আদায়ে এটা করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে এক টাকা ৬৯ পয়সা কমিশন পাচ্ছেন পাম্প মালিকরা। এ কমিশন তিন টাকা করার দাবি তাঁদের। এ ছাড়া বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রলে তিন টাকা ৪৯ পয়সা কমিশন বাড়িয়ে পাঁচ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।</p> <p>মালিকরা অভিযোগ করেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে প্রতি লিটার ডিজেলে দুই টাকা ১৪ পয়সা এবং পেট্রল ও অকটেনে তিন টাকা ৮০ পয়সা কমিশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সেটাও বাস্তবায়ন করা হয়নি।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব আকতার হোসেন, বাংলাদেশ ট্যাংক লরি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।</p>