<p>দাফন করতে গিয়ে কেঁদে ওঠা ফরিদপুরের নবজাতক গালিবা হায়াতকে মৃত ঘোষণা করার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স এবং নবজাতকের স্বজন ও গোরখোদকের সাক্ষ্য নিয়েছে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া সিভিল সার্জন কার্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, নবজাতকটির জন্ম নেওয়া ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের কার্যক্রমে অসংগতি পাওয়া গেছে।</p> <p>পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির নবজাতকবিষয়ক নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (এন-আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলছে। গালিবা হায়াতের চাচা শামীমুল হক গতকাল রবিবার জানান, শিশুটি ওই হাসপাতালের ডা. আফতাব ইউসুফ রাজের তত্ত্বাবধানে আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন।</p> <p>এদিকে ফরিদপুরে ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সার্জন কর্তৃক গঠিত দুটি তদন্ত কমিটিই কাজ শুরু করেছে।</p> <p>এর মধ্যে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হাসপাতালের তদন্ত কমিটি ছয় সদস্য নিয়ে পুনর্গঠিত হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কে এম কামরুজ্জামান সেলিম গতকাল সাংবাদিকদের জানান, পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটি রবিবার দুপুর থেকেই কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে রিজিয়া আলমসহ দুই চিকিৎসক, সেবিকা, শিশুর দাদা ও দাদি এবং গোরখোদক ও কবরস্থানের মাওলানার সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আজ সোমবার তদন্ত কমিটি আবার সভা করবে। সেই সভায় তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির বিষয়ে আলোচনা করা হবে।</p> <p>এ ছাড়া একই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম পর্যালোচনা করার লক্ষ্যে সিভিল সার্জন কার্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটিও গতকাল কাজ শুরু করেছে। সিভিল সার্জন অরুণকান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট ঊষা রঞ্জন চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ঊষা রঞ্জন চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিক তদন্তে ওই হাসপাতালের কার্যক্রমে অসংগতি পাওয়া গেছে।</p> <p>প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে একটি নবজাতক জন্ম নিলে সেখানে চিকিৎসক রিজিয়া আলম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে কবরস্থানে দাফন করার আগে শিশুটি কেঁদে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ওই হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শনিবার তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।</p>