রাজশাহী নগরীতে গৃহবধূ সাথী ইয়াসমিনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. মনসুর আলম এ রায় দেন।
একই সঙ্গে তিন আসামির প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায় দেওয়ার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল। তারা হলো সাথী ইয়াসমিনের স্বামী আরিফ হোসেন, তার দুই ভাবি হানিফা হাসান ইভা ও মাহফুজা জান্নাত লাইবা।এ মামলার অন্য আসামি আরিফের মা মর্জিনা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে রাজশাহী নগরীর সাধুর মোড় এলাকায় গৃহবধূ সাথী ইয়াসমিন ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। ওই সময় আসামিরা ঘরে ঢুকে তাঁর শরীরে কেরসিন ঢেলে আগুন দেয়। সাথীর চিত্কারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
সাথীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মারা যাওয়ার আগে তিনি হাসপাতালে জবানবন্দি দিয়ে যান। এ ঘটনায় সাথীর বড় ভাই সুজন হোসেন বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামি করা হয় সাথীর স্বামী আরিফসহ চারজনকে। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের এক বছর আগে বোয়ালিয়া রানীনগরের রহমান আলীর ছেলে আরিফ হোসেনের সঙ্গে নগরীর হেতম খাঁ এলাকার সাহাজিপাড়ার সাজ্জাদ হোসেনের মেয়ে সাথী ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আরিফ যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিল। এ কারণে বিয়ের কিছুদিন পর সাথী বাবার বাড়ি চলে যান।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের