চার দিনেও খোঁজ মেলেনি সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক তানভীর হাসান জোহার। তিনি কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারছে না। গতকাল রবিবার পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জোহাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি।’
জানা যায়, সাইবার অপরাধের নানা ঘটনা তদন্তে জোহা দীর্ঘদিন ধরে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনার পর তিনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন। তাই গত বুধবার রাতে তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, জোহা দীর্ঘদিন ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন। পুলিশ ও র্যাবকে নানাভাবে তিনি সহায়তা করেছেন। কী কারণে তিনি নিখোঁজ আছেন তা বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, বেশি কথা বলায় জোহা বিপদে পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি সরকারি দপ্তরগুলোতে কাজ করেছেন। তাঁর উচিত ছিল যেকোনো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মিডিয়ায় কথা না বলা। এ জন্য তাঁকে একাধিকবার সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কারো কথা শোনেননি। তবে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর সন্ধান পাওয়া যাবে।
জোহার স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার বলছেন, জোহাকে ফিরে পেতে পুলিশ ও র্যাবের সহায়তা চেয়েও লাভ হচ্ছে না। সবাই শুধু আশ্বাস দিচ্ছে। জিডির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘থানাগুলোতে ঘুরে জিডি করতে না পারে হতাশ হয়েছি। এখন আর জিডি করতে ইচ্ছা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, তিনি যেন আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।’
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের