অক্টোবর বিপ্লব পুনর্নিরীক্ষণ

&lt;p&gt;১০০ বছর পরও অক্টোবর বিপ্লব কারো কারো কাছে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিদাত্রী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। তাঁদের মতে, ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় সংঘটিত বিপ্লব ইউরোপের সংস্কার আন্দোলন বা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতাসংগ্রাম ও ফরাসি বিপ্লবের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিপ্লব ধর্মীয় বা রাজনৈতিক মুক্তিরও অধিক। এ বিপ্লব সামাজিক মুক্তির পথনির্দেশ করে, মানুষের দ্বারা মানুষের শোষণ&mdash;পুঁজিতন্ত্রে যাকে স্বাভাবিক মনে করা হয়&mdash;অবসানের পথনির্দেশ করে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;সমালোচকদের মতে, অক্টোবর বিপ্লবের ফলে কমিউনিস্ট স্বৈরতন্ত্রের কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। তাঁরা মনে করেন, এ বিপ্লব ফ্যাসিবাদের সমতুল্য, বুদ্ধিমুক্তির আন্দোলনের চেতনার বিরোধী এক উপপ্লব; নতুন এক অন্ধকার যুগের সূচনাকারী ঘটনা।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;যা-ই হোক, সাম্যবাদ ও ফ্যাসিবাদকে একই পাল্লায় মাপা অবমূল্যায়নের পরাকাষ্ঠা। এ প্রয়াস ইতিহাসের নিরীক্ষণে উত্তীর্ণ হয়নি। এই দুই মতবাদের মধ্যে প্রকৃত ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের জায়গাটি হলো, ফ্যাসিবাদ নিধনযজ্ঞের (হলোকস্ট) জন্মদাতা, আর সাম্যবাদ (সোভিয়েত রেড আর্মির অবয়বে) ওই নিধনযজ্ঞের অবসানকারী।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;img alt=&quot;&quot; src=&quot;/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/November/08-11-2017/Kalerkantho_17-11-08-18.jpg&quot; style=&quot;float:left; height:442px; margin:8px; width:400px&quot; /&gt;১৯১৭ সালে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া ছিল সমাজতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী রূপান্তরের জন্য সবচেয়ে কম বিবেচিত দেশ&mdash;এ নিয়ে বিতর্ক নেই। মার্ক্সের মূল্যায়নে সাম্যবাদের সূচনার জন্য সমাজের উৎপাদিকা শক্তির এমন বিকাশ হতে হয় যে বিদ্যমান উৎপাদন সম্পর্ক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় গতিরোধক হয়ে দেখা দেয়। ওই দশায় শ্রমিক শ্রেণির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে তারা বিদ্যমান উৎপাদনব্যবস্থায় তাদের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। তারা সামাজিক বিপ্লব ও রূপান্তরের অগ্রদূত&mdash;এ বোধ তাদের মধ্যে জাগ্রত হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;মার্ক্স লিখেছেন, &lsquo;কোনো সামাজিক ব্যবস্থায় সব উৎপাদিকা শক্তির বিকাশ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ওই ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটে না এবং পুরনো সমাজের গর্ভে অস্তিত্বের বস্তুগত শর্তাবলি বিকশিত হওয়ার আগে নতুন উচ্চতর উৎপাদন সম্পর্কের উদ্ভব হয় না।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;মার্ক্সের বিশ্লেষণের ত্রুটি হলো, পশ্চিম ইউরোপের অগ্রসর পুঁজিবাদী দেশগুলোতে না হয়ে সাম্যবাদের (কমিউনিজম) আবির্ভাব হলো প্রান্তিক দেশগুলোতে&mdash;রাশিয়া, চীন, কিউবা প্রভৃতি দেশে। বিকাশ বা প্রাচুর্যের পরিস্থিতিতে নয়, অনুন্নয়ন ও আকালের পরিস্থিতিতে সাম্যবাদের আবির্ভাব হয়েছে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;সুইজারল্যান্ডে নির্বাসনের সময় লেনিন পরিস্থিতি নিরীক্ষণের ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি দেখতে পেয়েছিলেন, কিভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ইউরোপের বিপ্লবীদের সামনে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করার সুযোগ হাজির করেছে। হয় তাঁদের উগ্র জাতীয়তাবাদে (ন্যাশনাল শভিনিজম) দাখিল হতে হবে (অর্থাৎ শাসক শ্রেণির পেছনে গিয়ে দাঁড়াতে হবে এবং দেশের যুদ্ধোদ্যোগ সমর্থন করতে হবে), নয়তো বিশ্ববিপ্লবের স্বার্থে শ্রমিক শ্রেণিকে সংগঠিত ও উদ্বুদ্ধ করে যুদ্ধকে গৃহযুদ্ধে পরিণত করতে হবে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;খোসা থেকে শাঁস আলাদা করার সুযোগ তৈরি হয়েছিল ওই পরিস্থিতিতে। কিন্তু ওই সময়েই দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের অবসান ঘটে। কিছু ব্যতিক্রম বাদে আন্তর্জাতিক মার্ক্সবাদী ও বৈপ্লবিক সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সাবেক পুরোধারা দেশাত্মবোধ ও যুদ্ধের বিকারে আক্রান্ত হন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;লেনিন বলেছেন, &lsquo;যুদ্ধ বাধল, সংকটও এলো। বিপ্লবী কর্মকৌশল অবলম্বনের পরিবর্তে বেশির ভাগ সামাজিক-গণতান্ত্রিক (মার্ক্সবাদী) দল প্রতিক্রিয়াশীল কর্মকৌশল গ্রহণ করল। তারা নিজ নিজ দেশের সরকার ও বুর্জোয়াদের পাশে গিয়ে দাঁড়াল। সমাজতন্ত্রের প্রতি এই বিশ্বাসঘাতকতা দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের (১৮৮৯-১৯১৪) অবসানের প্রাসঙ্গিকতা নির্দেশ করে। আমাদের অবশ্যই এর কারণ বুঝতে হবে। বুঝতে হবে, কেন সোশ্যাল শভিনিজমের উদ্ভব হলো এবং কী কী বিষয় একে শক্তি জোগাল।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;চার বছরের যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা, বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ তথাকথিত সভ্য দুনিয়াকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করল। ইউরোপের শাসক শ্রেণি রক্তের হোলিখেলা শুরু করেছিল। গণতন্ত্র বা স্বাধীনতার জন্য নয় (মিত্রপক্ষ যদিও নির্বোধের মতো এ দাবি করে), বরং আফ্রিকা ও অনুন্নত বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় উপনিবেশের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ওই খেলা শুরু হয়েছিল।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;বামপন্থীদের দিক থেকে, অন্তত আন্তর্জাতিক বামপন্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশের অক্টোবর বিপ্লব ও পরবর্তী ঘটনাবলির বিশ্লেষণে বিপ্লবের প্রধান দুই নেতাকে (লেনিন ও ট্রটস্কি) দেবতুল্য করা হয়েছে, আর স্তালিনকে বানানো হয়েছে দানব। তারা বলতে চেয়েছে, বিপ্লবে তাঁর (স্তালিন) ভূমিকা দূরবর্তী। লেনিনের মৃত্যুর পর তিনি বিপ্লব ছিনতাই করেন; বিপ্লবের লক্ষ্য ও অর্জনকে বিনাশ করার জন্য প্রতিবিপ্লবী প্রক্রিয়ার সূচনা করেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;দ্য প্রফেট আনআর্মড শিরোনামে তিন খণ্ডে লেখা লিওন ট্রটস্কির জীবনী গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে লেখক ইসাক ডয়চার বলেছেন, &lsquo;বলশেভিকরা জানত, শুধু তাদের ও বিপ্লবের বেদনাদায়ক বিলুপ্তির মাধ্যমেই তাদের প্রতিপক্ষ আত্মপ্রকাশের ও সোভিয়েত ভোটারদের সামনে হাজির হওয়ার সুযোগ পেতে পারে। সংগঠিত বিরোধীপক্ষ বিশৃঙ্খলা ও অসন্তোষকে সহজেই তাদের অনুকূলে কাজে লাগাতে পারে। কারণ বলশেভিকরা শ্রমিক শ্রেণির শক্তি কাজে লাগাতে অসমর্থ। এ কারণেই তারা নিজেদের ও বিপ্লবকে বিলুপ্তির মুখে ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;রূঢ় বাস্তবতা হলো, রাশিয়ার ক্ষুদ্র ও নবজাত প্রলেতারিয়েত (শ্রমজীবী শ্রেণি) তার সবচেয়ে অগ্রসর অংশটির গৃহযুদ্ধে বিলীন হয়ে যাওয়ার কারণে সংগঠনে ও সরকার পরিচালনায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নিতে সমর্থ ছিল না। লেনিন বলতে বাধ্য হয়েছেন, &lsquo;আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের অবস্থা খুবই খারাপ। এতটাই হতদশা যে সবার আগে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে, এর ত্রুটি কিভাবে দূর করা যায়। মনে রাখতে হবে, এসবের মূল প্রোথিত রয়েছে অতীতে। সে অতীত ছুড়ে ফেলা হয়েছে বটে; কিন্তু তার প্রভাব পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যায়নি।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;১৯২৪ সালে লেনিনের মৃত্যুর পর নেতৃত্বের লড়াইয়ে স্তালিনের বিজয় শুধু পার্টির যৌথ নেতৃত্বের ব্যবস্থাগুলোকেই নয়, খোদ বিপ্লবের আদর্শ ও উদ্দেশ্যকেও হেয় করেছে। তিনি অবিহিত উপায়ে কর্তৃত্ব অর্জন করেন। রাশিয়ার ভেতর-বাইরের এমন মূল্যায়ন দুনিয়া কাঁপানো বিপ্লবের ঘটনার সংকীর্ণ মূল্যায়ন ছাড়া আর কিছু নয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ট্রটস্কি ইউরোপীয় ও বিশ্ববিপ্লবের ধারণা মাথায় রেখে অক্টোবর বিপ্লবের নিয়ামক বৈশিষ্ট্যের ওপর বিশ্বাসে অটল ছিলেন। এ নিয়ে তিনি লেনিনের সঙ্গেও আলোচনা করেন। কিন্তু ১৯২৪ সাল নাগাদ এটা স্পষ্ট হয় যে অগ্রসর ইউরোপীয় কোনো দেশে এ ধরনের বিপ্লবের সম্ভাবনা নেই। এর মানে হলো, আগে রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র কায়েম করতে হবে। বুখারিনের ভাষায়&mdash;&lsquo;যা আছে তা-ই দিয়ে।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ইউরোপীয় প্রলেতারিয়েতের ওপর লেনিন ও ট্রটস্কির আস্থা ভুল প্রমাণিত হয়েছে আর স্তালিনের সন্দেহ বা অবিশ্বাস যুক্তিযুক্ত প্রমাণিত হয়েছে। ডয়চার বলেছেন, &lsquo;লেনিন ও ট্রটস্কির চার বছরের নেতৃত্বের পর পলিটব্যুরো বিশ্ববিপ্লবের সম্ভাবনাকে আর নিঃসন্দিগ্ধভাবে দেখতে পারছিল না...বৃহত্তর ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে স্তালিন সন্তুষ্ট ছিলেন না। কারণ তা গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে বলে মনে হচ্ছিল না।...বিশ্ববিপ্লবে চরম সন্দেহ এবং রাশিয়া ও পুঁজিবাদী বিশ্বের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সন্ধির বাস্তবতায় আস্থা&mdash;এ দুটি ছিল তাঁর (স্তালিন) এক দেশে সমাজতন্ত্র কায়েমের ধারণার যমজ পটভূমি।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;পশ্চিমে যুদ্ধের বর্ধমান বাতাবরণের মধ্যে ১৯২৮ সালের গোড়ার দিকে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন স্তালিন। ১৯৩১ সালে তিনি বলেন, &lsquo;আমরা উন্নত দেশগুলো থেকে ৫০ বা ১০০ বছর পিছিয়ে আছি। এই ব্যবধান ১০ বছরের মধ্যে ঘোচাতে হবে, আমাদের সফল হতে হবে। হয় আমাদের এটা করতে হবে, নয় তারা আমাদের গুঁড়িয়ে দেবে।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;অনেকে অক্টোবর বিপ্লব ও পরবর্তী সময়ের মানবিক ক্ষতির বিষয়গুলোকে সোভিয়েতব্যবস্থার খারাপ দিকের প্রমাণ হিসেবে দেখেন। কিন্তু পশ্চিমা উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের ইতিহাসের কোনো নিবিষ্ট শিক্ষার্থী এসব মতবাদ ও নীতিপ্রসূত কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষকে কী মূল্য দিতে হয়েছে তা ভেবে দেখে না। আলাঁ বাদিউ আমাদের মনে করিয়ে দেন, বিপুল ঔপনিবেশিক গণহত্যা, পাইকারি হত্যা, গৃহযুদ্ধ ও বিশ্বযুদ্ধে অযুত অযুত লোকের মৃত্যু (যার বিনিময়ে আমাদের পশ্চিম সম্পদ-শক্তিমত্তা অর্জন করেছে) উপনিবেশবাদী শক্তিকে নিন্দা-মন্দ করার জন্য যথেষ্ট। এমনকি নৈতিকতায় পরিপূর্ণ দার্শনিকদের চোখে এবং ইউরোপ ও আমেরিকার সংসদীয় গণতন্ত্রীদের চোখেও এগুলো মন্দ দিক।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;কোনো বিপ্লব বা বিপ্লবী প্রক্রিয়া শুরুতেই তার সমর্থক-অনুসারীদের দ্বারা ধারণকৃত আদর্শ ও উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে না। বিপ্লবী প্রক্রিয়া ভেতরের বা বাইরের বাস্তবতা সাপেক্ষে, বিরোধাত্মক বিষয়গুলোর নিরিখে এগোয়-পেছোয়, ভারসাম্যে পৌঁছার আগ পর্যন্ত। যে স্থানকালে বিপ্লব সংঘটিত হয় সেই স্থানকালের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণপ্রসূত বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা মোকাবেলা করেই এই ভারসাম্য তৈরি হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;টমাস মুনজারের নেতৃত্বাধীন কৃষক বিদ্রোহ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে ওকালতি করেছিলেন মার্টিন লুথার। এর পরও কেউ কি ইতিহাসে লুথারের মহান অগ্রদূতের ভূমিকাকে অস্বীকার করতে পারে? ফরাসি বিপ্লব স্বাধীনতা, সাম্য ও মৈত্রী অর্জন নয়, বরং একজন নেপোলিয়নকে পাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ওয়াটারলুতে কর্সিকান এই জেনারেলের গ্র্যান্ড আর্মি মানবপ্রগতির লক্ষ্যে স্বৈরতন্ত্র ও অভিজাততন্ত্রের প্রতিনিধি ওয়েলিংটনের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন কি না সে প্রশ্ন কে তোলে? স্তালিনের ব্যাপারেও যা-ই বলা হোক না কেন, তাঁর এক দেশে সমাজতন্ত্র কায়েমের উদ্যোগ ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সোভিয়েত ইউনিয়নকে ১৯৪০-এর দশকে ফ্যাসিবাদের দানবের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। বলতে হয়, ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লবের যথার্থতার নির্ণায়ক হচ্ছে ১৯৪২ সালের স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধ। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, বিশ্ব চিরকাল এর (স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধ) কাছে ঋণী হয়ে থাকবে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;লেখক : &lt;/strong&gt;সাংবাদিক, রাজনীতির বিশ্লেষক&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;সূত্র : &lt;/strong&gt;স্পুিনকনিউজ অনলাইন&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ভাষান্তর : &lt;strong&gt;সাইফুর রহমান তারিক&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt;

অক্টোবর বিপ্লব পুনর্নিরীক্ষণ

জন ওয়াইট

notdefined

notdefined

প্রাসঙ্গিক

সম্পর্কিত খবর

সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা এখন তলানিতে : সাইফুল হক

মাছ চাষে বিপ্লব নুরুল হকের

মাছ চাষে বিপ্লব নুরুল হকের

গদারের নোটবুক

সর্বশেষ সংবাদ

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন পরীমনির বিরুদ্ধে

রমজানের পর বছরজুড়ে মুমিনের আমল

৪ লাখ টাকায় হামলা করানো হয় সালমান খানের বাড়িতে

পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে

৭০ কেজি শসায় এক কেজি চাল

রাজকীয় বিদায়ের আশায় গুড়ে বালি!

গ্রামাঞ্চলে তীব্র লোডশেডিং, বিদ্যুতের ঘাটতি দেড় হাজার মেগাওয়াট

ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭

মাদক সাম্রাজ্য : গ্রেপ্তারকৃত শীর্ষ ১০ গডফাদার কারা?

এবার ‘জেমস’ হবেন শাকিব খান

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

তীব্র দাবদাহে পানছড়ির রাবার ড্যামে দর্শনার্থীদের ভিড়

'যা কেউ ভাবতে পারে না রিয়াল মাদ্রিদ তাই করে দেখায়'

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ রবিবার

৬ দিনের সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

চলে গেলেন চারণ শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার দে

আড়মোড়া ভেঙে জেগেছে হকি

প্রভাব খাটিয়ে আর পরিবেশের ক্ষতির সুযোগ নেই: পরিবেশ মন্ত্রী

সড়ক দুর্ঘটনায় কণ্ঠশিল্পী পাগল হাসানের মৃত্যু

টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা

রাজধানীতে মাদক কেনা-বেচার অভিযোগে আটক ১৯

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ নেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

পানির নিচে দুবাই বিমানবন্দর, ব্যাপক বিশৃঙ্খলা

গুণী সব নির্মাতার ফোন পেয়ে ভালো লাগছে : মন্দিরা

কেন্দ্রের হুঁশিয়ারিও গায়ে মাখছেন না এমপিরা

ফোকগানের তরুণ শিল্পী পাগল হাসান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত

টঙ্গী বাজারে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল মসলা-চাল-পেঁয়াজের আড়ত

খুলে দেওয়া হলো মুসোলিনির সেই বাংকার

দাবদাহে বিপর্যস্ত দেশ, তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪৩ ডিগ্রিতে

চালুর অপেক্ষায় ১২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি পতেঙ্গা টার্মিনাল

সর্বাধিক পঠিত

এক হলেন তাহসান মিথিলা, তবে…

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খান পরীমণি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ নেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বৃহস্পতিবার ১ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট

‘মুস্তাফিজের আইপিএলে শেখার কিছু নাই, শেখার সময় পার হয়ে গেছে’

সেই খালেদা জামিনে মুক্ত

বাসর রাত কাটিয়ে স্বামী পলাতক, শ্বশুরবাড়িতে তরুণীর অবস্থান

গডফাদারদের সম্পত্তি ক্রোক: মাদকের টাকায় সম্পদের পাহাড়

ঝালকাঠিতে সড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ১১

আবারও কারাগার থেকে গৃহবন্দি সু চি

'আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে চান না, আমার সঙ্গে খেলতে চান?'

মৃত্যু বেড়ে ১৫, স্বামীর পর চলে গেলেন স্ত্রীও

মাহির সঙ্গে প্রেম করছেন কি না, জানালেন জয়

মধ্যপ্রাচ্যের পরবর্তী পরিস্থিতিতে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

শুটিংয়ে আহত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

আজ এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবা

৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি আমিরাতে, পানির নিচে বিমানবন্দর

টাইব্রেকারে ম্যানসিটির হৃদয় ভেঙে সেমিফাইনালে রিয়াল

মেগা প্রজেক্ট ‘রামায়ণ’, কারা কারা থাকছেন

বার্সার হারে লাভ হলো অ্যাতলেতিকোর

টাঙ্গাইল শহরে একাধিক কক‌টেল বি‌স্ফোরণ, জনমনে আতঙ্ক

নওগাঁয় সড়কে গেল স্বামী-স্ত্রীর প্রাণ, বেঁচে গেল সন্তান

বার্সাকে বিদায় করে যে স্বপ্নের কথা জানালেন এমবাপ্পে

ওই পরিমাণ আয় করতে ১৫টি সিনেমা করতে হতো : রাভিনা

তাপপ্রবাহ কিছুটা কমেছে, আরো কমবে

বিজয় এক্সপ্রেসে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দুই যুবকের

২০১৯ এর পর আবার কান উৎসবে ডাক পেলেন এই তরুণী

ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ, বিক্রি হবে আগের দামেই

চিকিৎসায় অবহেলা মেনে নেওয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পরিবেশবান্ধব হলো আরো এক পোশাক কারখানা

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন