দিনাজপুর থেকে ঢাকায় আসার জন্য ট্রেনের টিকিট করতে গিয়ে জানলাম, ঢাকা পর্যন্ত সিট খালি নেই। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পর্যন্ত সিট পেয়ে সেই টিকিটই নিলাম। ট্রেন ছাড়ার পরে টিটি এসে টিকিটে সাইন করে দিলেন। তাঁকে বললাম, ঢাকা যাব, সিট ছিল না বিধায় এ পর্যন্ত করেছি। এখন আমার টিকিটটি ঢাকা পর্যন্ত করে দিন। তিনি বললেন, ১৮০ টাকা লাগবে। ৩৬৫ টাকা দিয়ে টিকিট নিলাম দিনাজপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পর্যন্ত। এর পরেও ১৮০ টাকা দিলে আমার মোট ভাড়া লাগল ৫৪৫ টাকা, যেখানে দিনাজপুর থেকে ঢাকার ভাড়া ৪৬৫ টাকা। তিনি ৫০ টাকা জরিমানাসহ কিসের একটা হিসাব আমাকে বুঝিয়ে দিলেন।
আমি বললাম, আমি তো ট্রেনের শুরুর স্থান থেকেই টিকিট করেছি, তাহলে জরিমানা লাগবে কেন? তিনি বললেন, আপনি আমাকে আইন শেখাচ্ছেন? টাকা দেন। পাশের সিটের একজন বলল, দালাল তাকে ঢাকা থেকে দিনাজপুরের একটা টিকিট দিয়েছে। টিটি দেখে বললেন, এটা তো পুরনো টিকিট। সেই যাত্রী বলল, আমি ৫০০ টাকা দিয়ে এটা কিনেছি। টিটি তখন জানান, এই টিকিটে তিনি যেতে পারবেন না, আবার টিকিট কিনতে হবে। ট্রেনে এ রকম অসংখ্য ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে। ট্রেনের অগ্রিম টিকিট নিতে গেলে কাউন্টার থেকে বলা হয় সিট নাই, অথচ দালালরা বাড়তি টাকায় সিট দিয়ে টিকিট বিক্রি করছে। এত অনিয়ম হলে রেলের মতো একটি লাভজনক খাতে লোকসান হতে বাধ্য। আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
আনোয়ার হোসাইন
মিরহাজিরবাগ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...