<p>দীর্ঘ দুই মাস পার হওয়ার পরও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পুনরায় অভিযান শুরু হয়নি। গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফা অভিযান শেষ হলেও পরবর্তী অভিযান থমকে যায়। এ ক্ষেত্রে আর্থিক সংকট, মাস্টারপ্ল্যান ও ম্যাজিস্ট্রেট সংকটসহ নানা অজুহাত দেখাচ্ছে জেলা প্রশাসন। মূলত দখলদারদের বাঁচাতেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের অভিযান শুরু হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।</p> <p>বন্দর নগরের বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবী সংগঠন এক জোট হয়ে বাকি অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গত সপ্তাহে মানববন্ধন করে। ওই কর্মসূচি থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আলটিমেটামও দেওয়া হয়। এ অবস্থায় অভিযান</p> <p>এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু না করলে আরেকটি রিট মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’-এর আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। এর আগে ২০১৬ সালে তিনিই কর্ণফুলী নদীতীরের দখলদার উচ্ছেদে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের রায় নিয়ে জেলা প্রশাসন বাধ্য হয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিল।</p> <p>আইনজীবী মনজিল মোরশেদ গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে বিদ্যমান জটিলতা দূর করার চেষ্টা করব। তাতেও তারা সাড়া না দিলে কিংবা জটিলতা দূর করে উচ্ছেদ কার্যক্রম পুনরায় শুরু না করলে এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ আদালতে বিষয়টি জানিয়ে আরেকটি রিট মামলা করব। তাদের জবাবদিহির আওতায় আনব।’ তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকায় থাকা দুই হাজার ১২২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। মাস্টারপ্ল্যানের নামে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই।’</p> <p>আইনজীবীর সঙ্গে গতকাল দেখতে যান প্রথম দফায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান। কর্ণফুলী নদীর উচ্ছেদকৃত অংশে দাঁড়িয়ে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সম্ভাব্য সব ধরনের জটিলতা দূর করতেই আজ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সেই জটিলতার সমাধান করে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’</p> <p>জানা গেছে, মূলত তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে কর্ণফুলী নদী-তীরের দুই হাজার ১২২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রথম দফায় ৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঝিরঘাট ও সদরঘাট এলাকায় অভিযান চলে। এ পর্যায়ে উদ্ধার হয় ১০ একর জমি। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা। একই সঙ্গে দখলমুক্ত হয় পাঁচটি খালের মুখ।</p> <p>এরপর দ্বিতীয় দফায় সদরঘাট থেকে কর্ণফুলী সেতু এবং বারিক বিল্ডিং থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৫ নম্বর ঘাট পর্যন্ত অভিযান চলার কথা রয়েছে।</p> <p> </p> <p> </p>