<p>দাবি করা চাঁদা না পেয়ে মধু সিটির অফিসে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে এক দল দুর্বৃত্ত। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানী ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের তারানগরে এ ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় সোহাগ ও তুষার নামে প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল রবিবার এ প্রতিবেদন লেখার সময় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।</p> <p>জানা গেছে, স্থানীয় দুর্বৃত্ত ও চাঁদাবাজ সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে স্বনামধন্য মিলেনিয়াম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মধু সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। অন্যদিনের মতো শনিবার</p> <p> বিকেলে সিদ্দিকের নেতৃত্বে ৮-৯ জনের একটি চাঁদাবাজদল মধু সিটির কেরানীগঞ্জের তারানগর কার্যালয়ে হাজির হয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। কর্মকর্তারা এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের ওপর শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন।</p> <p>রামদা, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শুরু হয় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব। মধু সিটি কার্যালয়ের দরজা-জানালার কাচ ও ভেতরের আসবাব ভেঙে চুরমার করে দেয়। দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে গেলে মধু সিটির দুই কর্মকর্তা সোহাগ ও তুষারের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।</p> <p>মধু সিটি আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষের কাছ থেকে জবরদস্তি চাঁদা আদায় করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মধু সিটি থেকেও তারা চাঁদা আদায় করত। সিদ্দিকের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। এর থেকে পরিত্রাণ চাই।’</p> <p>মধু সিটি আবাসন প্রকল্পের চেয়ারম্যান হাজি মো. সলিম উল্যাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সন্ত্রাসী সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। তার ভয়ে আমরা সারাক্ষণ তটস্থ থাকি। সে অনেক দিন ধরেই আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করেছে। একপর্যায়ে তাকে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে আমাদের নানা রকম হুমকি-ধমকি দেয়।’</p> <p>সলিম উল্যাহ বলেন, ‘শনিবার বিকেলে মধু সিটি আবাসন প্রকল্পের অফিসে কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিল চলাকালে মদ্যপ অবস্থায় সিদ্দিক দলবল নিয়ে অফিসে ঢোকে। তারা অফিসের আসবাব ভাঙচুর ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে বিনষ্ট করে। একপর্যায়ে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের একজনের রাম দার কোপ লাগে সিদ্দিকের শরীরে।’</p> <p>প্রকল্প চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘সিদ্দিকের ভয়ে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা এমনিতেই ভালো নয়। তার ওপর সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে গেলে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলা ছাড়া বিকল্প থাকবে না। ব্যবসাবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে এমন চাঁদাবাজদের অত্যাচারে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। তাদের এই দৌরাত্ম্য বন্ধ করা উচিত।’</p> <p> </p>