<p>কালের কণ্ঠ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপনাদের দলের প্রস্তুতি কেমন?</p> <p>মনিরুল ইসলাম নূপুর : আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা শঙ্কিত। একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে আমাদের দল সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না। ঝালকাঠির দুটি আসনেই বিএনপির ঘাঁটি। ঝালকাঠির দুটি আসনে আমাদের তেমন কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তি, ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি মানলে আমরা</p> <p>নির্বাচনে যাব। জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে ধানের শীষেই দেবে। পুলিশের বাধার কারণে রাজপথে নামতে সাহস না পেলেও সুষ্ঠু ভোটের খবর পেলে কেন্দ্রে উৎসব করে ধানের শীষে ভোট দেবে।</p> <p> </p> <p>কালের কণ্ঠ : জেলা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা কেমন?</p> <p>মনিরুল ইসলাম নূপুর : আমাদের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা কমিটি আপডেট আছে। সাংগঠনিকভাবে আমরা শক্তিশালী আছি। আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। দলের সব সভা-সমাবেশে পুলিশ বাধা না দিলে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। দলের হাই কমান্ডের সব সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে পৌঁছে দিই। অনেক স্থানে প্রকাশ্যে সভা করতে না পারলেও সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করি। আওয়ামী লীগ নয়, আমাদের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল করার চেষ্টা করছে পুলিশ।</p> <p> </p> <p>কালের কণ্ঠ : মামলার কারণে অনেক নেতাকর্মী এলাকায় নেই, অনেকে কারাগারে। এ অবস্থায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করবেন কিভাবে?</p> <p>মনিরুল ইসলাম নূপুর : এখানে আওয়ামী লীগ কোনো ফ্যাক্টর নয়। যত কিছু হচ্ছে, পুলিশই তা করছে। এখন আবার নতুন করে পুলিশ ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ দিচ্ছে। যারা আমাদের দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, তাদেরও আসামি করা হচ্ছে। যারা নিয়মিত মাঠে নামে, তাদের নামে একাধিক মামলা দিচ্ছে। এখনো ১৫-২০ জন নেতা কারাগারে আছে। তার পরও আমাদের থামিয়ে রাখতে পারছে না। সুযোগ পেলেই আমরা মাঠে-ঘাটে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকি। আমাদের একমাত্র শক্তিই হচ্ছে জনগণ। আগামী নির্বাচনে আমরা অংশ নিলে জনগণই কেন্দ্র পাহারা দেবে। কারচুপি করার সুযোগ দেওয়া হবে না আওয়ামী লীগকে।</p> <p> </p> <p>কালের কণ্ঠ : নির্বাচনের আগে যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি না হয়, তাহলে আপনারা কী করবেন?</p> <p>মনিরুল ইসলাম নূপুর : খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না। প্যারলে মুক্তি নিয়ে সরকার নতুন করে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছে, আমরা সরকারের ফাঁদে পা দেব না।</p> <p> </p> <p>কালের কণ্ঠ : ঝালকাঠির দুটি আসনেই আপনাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আপনাদের করণীয় কী?</p> <p>মনিরুল ইসলাম নূপুর : ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত। সেখানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর-উত্তমকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তিনি ঝালকাঠি জেলা বিএনপির অভিভাবক। ওই আসনে তাঁর বিকল্প কোনো প্রার্থী সৃষ্টি হয়নি।  ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকলেও বর্তমানে দলের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। এই আসন থেকে আমি নিজেও মনোনয়ন চাইছি। দল চাইলে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে হারানো আসনটি দলকে ফিরিয়ে দিতে চাই। দলের যত আন্দোলন-সংগ্রাম হচ্ছে, সেখানে নেতাকর্মীদের অংশ নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।</p> <p> </p> <p>কালের কণ্ঠ : আগামী নির্বাচনে জনগণ কেন আপনাদের ভোট দেবে?</p> <p>মনিরুল ইসলাম নূপুর : বিএনপিকে জনগণ ভালোবাসে। আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে, মানুষের বাক্স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জনগণ না খেয়ে থাকতে রাজি আছে, কিন্তু বাক্স্বাধীনতা হরণকারীদের ভোট দেয় না। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ঐক্যফ্রন্ট করেছি। আগের চেয়ে আমাদের ভোট আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে আমাদের যে প্রার্থী এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক না কেন বিএনপির জয় হবে।</p> <p> </p> <p> </p>