<p>মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া বা ডুসিন মাসকুলার ডেস্ট্রফি (ডিএমডি) রোগের নাম অনেকেরই জানা। সাধারণত চার-পাঁচ বছর বয়সে এ রোগ ধরা পড়ে। মাংসপেশি ক্রমাগত শুকিয়ে যাওয়ার কারণে আক্রান্ত শিশু ধীরে ধীরে হাঁটার শক্তি হারিয়ে ফেলে। সম্প্রতি এ রোগের চিকিৎসা নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, ডিএমডি রোগ কুকুরের বাচ্চারও হয়ে থাকে। কিছুদিন আগে ডিএমডিতে আক্রান্ত কুকুরের জিন পরিবর্তন করে বড় ধরনের সফলতা মিলেছে। এ অভিজ্ঞতা থেকে শিশুদের চিকিৎসার উপায় বের করার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে গবেষণা সাময়িকী সায়েন্সে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।</p> <p>যুক্তরাজ্যে ডিএমডিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এই শিশুদের চিকিৎসা নিয়ে মা-বাবারা দুশ্চিন্তায় আছেন। একই রোগ বাংলাদেশেও ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে।</p> <p>সম্প্রতি চারটি কুকুরের ওপর ক্রিসপর জিন-এডিটিং টুল ব্যবহার করে আশাব্যঞ্জক সফলতা মিলেছে। এক মাস বয়সী ওই কুকুরগুলোকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। কয়েক সপ্তাহ পরে দেখা যায়, প্রোটিন পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে হৃদ্যন্ত্রের ক্ষমতা ৯২ শতাংশ সংশোধিত হয়েছে। একই সঙ্গে ডায়াফ্রামের অবস্থা ৫৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যেটি শ্বাস গ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত। ফলে সামগ্রিকভাবে রোগীর অবস্থা ১৫ শতাংশ উন্নতি হয়।</p> <p>গবেষণাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছে লন্ডনের রয়াল ভেটেরিনারি কলেজ ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউটি সাউথওয়েস্টার্ন মেডিক্যাল সেন্টার। গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক ও ইউটি মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষক ড. এরিক ওলসন বলেন, ‘শ্বাস নিতে না পেরে ডিএমডিতে আক্রান্ত অনেক শিশু মারা যায়। কুকুরের ওপর পরিচালিত গবেষণাটি এ ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।’ সূত্র : বিবিসি।</p>