<p>সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আটক ও তুলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। এ ঘটনাকে ভুল-বোঝাবুঝি বলে অভিহিত করে তিনি বলেছেন, আন্দোলনকারীদের চোখ বেঁধে গাড়িতে ওঠানো হয়েছে, এটা সঠিক নয়। তাঁদের চোখ বাঁধা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>ভিসা জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি মামলার বিষয়ে গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত সাংবাদিকরা কোটা আন্দোলন বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন সেসব প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের চোখ বেঁধে গাড়িতে ওঠানো হয়েছে, এটা সঠিক নয়। যেহেতু ভিসির বাসায় হামলাকারীদের আমরা চিনি না, এ কাজে সহযোগিতার জন্য তাদের ডাকা হয়েছিল। তদন্তের প্রয়োজনে এর আগেও ঢাবির হল থেকে অনেক ছাত্রকে ডেকে এনে সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। কেন তারা এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছাড়াচ্ছে আমাদের জানা নেই।’</p> <p>আব্দুল বাতেন বলেন, “আন্দোলন নিয়ে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বক্তব্য দিয়েছে। রাজনৈতিক ও সরকারিভাবে ঘোষণা এসেছে। আমরা মূলত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত করছি। বিশেষ করে ভিসির বাসায় যে হামলা হয়েছে সেই মামলার তদন্তের জন্য আমরা কাজ করছি। এরই মধ্যে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি। এই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা অনেক ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি, অনেক স্টিল ফটো পেয়েছি। যেহেতু হামলাকারীদের চেহারা আমরা চিনি না, তাই আমরা মনে করেছি, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, যারা হলে থাকে, যারা ওই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তারা তদন্তে সহযোগিতা করতে পারবে। তাদের দিয়ে হামলায় জড়িতদের ‘আইডেন্টিফাই’ করা সহজ হবে। এসব কিছুর অংশ হিসেবে আমরা ধরে নিয়েছিলাম, যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদেরও সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।</p> <p>ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পারলে আমাদের তদন্ত গতিশীল হবে। আমরা এগোতে পারব। আসলে বিষয় ছিল এই।”</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অভিযোগ নেই। তারা মামলা প্রত্যাহার চেয়েছে, কিন্তু সেটার সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে আনার কোনো সম্পর্ক নেই। ভিসির বাসায় হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে বিষয়টি এমনও নয়, সহযোগিতার জন্য ডাকা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষটি তারা অন্যভাবে বিবেচনা করেছে। অন্যদিকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা করেছে।’</p> <p>কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন নেতাকে সোমবার মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। এক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।</p> <p>ফিরে এসে তিন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান, গাড়িতে তুলে তাঁদের চোখ বেঁধে ফেলা হয়। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে গতকাল গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা ঘটনার ব্যাখ্যা দেন।</p>