<p>বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা প্রায় ২০০ টন গমে পোকা ও রোগ-জীবাণুর উপস্থিতি পেয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ শাখা। তারা ওই পচা গম রপ্তানিকারক দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেছে। তবে গত ২৪ দিনেও গমগুলো ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারেনি বন্দর কাস্টমস। </p> <p>বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী জেলার মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্স গত ১৭ জানুয়ারি ভারত থেকে ১৯০ দশমিক ১০ মেট্রিক টন গম আমদানি করে। উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র গমগুলোতে নানা রকম ক্ষতিকারক জীবাণু রয়েছে বলে আশঙ্কা করে। তারা গমের  নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠায়। ৩১ জানুয়ারি উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং গমের নমুনা পরীক্ষা করে তাতে পোকা ও পাঁচটি রোগ-জীবাণু রয়েছে বলে জানায়। একই সঙ্গে উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন ২০১১ অনুযায়ী ওই পচা গম রপ্তানিকারক দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলে। কিন্তু বন্দর কাস্টমস গত ২৪ দিনেও তা ফেরত পাঠাতে পারেনি। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও তার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি।</p> <p>বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের অতিরিক্ত উপপরিচালক শাহাদত হোসেন বলেন, ‘আমরা আমদানি করা গমগুলোর নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছি তাতে পোকা ও ক্ষতিকারক রোগ-জীবাণু রয়েছে। এ বিষয়ে বন্দর কাস্টমসকে অবহিত করেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’</p>