শেষ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের ডাকে সাড়া দিয়েছেন এবি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারের মূল কারিগর ব্যবসায়ী সাইফুল হক। বেসরকারি ব্যাংকটির ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুই দফা দুদকের তলবে হাজির না হলেও তৃতীয় তলবে সাড়া দিয়ে দুদক কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল
হোসেন ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই সময়ে এবি ব্যাংকের অর্থপাচারের অভিযোগে ব্যাংকের পরিচালক বি বি সাহা রায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদক উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এই দুজন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। অন্যদিকে ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সোমবার দুদকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে অবস্থান করায় হাজির হতে পারেননি বলে দুদক সূত্র জানায়।
ব্যাংকটির গ্রাহক সাইফুল হক আটলান্টিক এন্টারপ্রাইজের মালিক। তিনি বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের মেয়ের জামাতা। মোরশেদ খান ছিলেন এবি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান। মূলত সাইফুল হক তাঁর শ্বশুরের প্রভাব খাটিয়ে বিদেশে অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ব্যাংকটিতে তাঁর ব্যাপক প্রভাব ছিল। বিশেষ করে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যানের সঙ্গে আঁতাত করে তিনি বিদেশে ১৬৫ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে দুদক সূত্র জানায়।
সূত্র জানায়, স্কাই এভিয়েশন সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালকও সাইফুল হক। তাঁর ওই কম্পানি বাংলাদেশে ‘ফ্লাই দুবাই’-এর এজেন্ট। জালিয়াতির মাধ্যমে শুল্কমুক্ত কোটায় সাইফুল হক চারটি বিলাসবহুল গাড়ি আনায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ তা আটকও করেছিল।
অর্থপাচারের অভিযোগে এরই মধ্যে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ছয় পরিচালক, দুই সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। গত রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ব্যাংকটির ছয় পরিচালককে। এরপর রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরিচালক শিশির রঞ্জন বোস, মেজবাহুল হক, ফাহিমুল হক, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, রুনা জাকিয়া ও অধ্যাপক এম ইমতিয়াজ হোসাইনকে।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, এবি ব্যাংকের অর্থপাচারের ওই ঘটনা ঘটে ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের জুনের মধ্যে। সেই সময় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এম ওয়াহিদুল হক। মো. ফজলার রহমান ও শামীম আহমেদ চৌধুরী ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...