<p>হার্ডওয়্যার খাতে বাংলাদেশের সাফল্য ও অগ্রগতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে তিন দিনের তথ্য-প্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৭’। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ প্রদর্শনী। ‘মেক ইন বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে হচ্ছে এই প্রদর্শনী। এতে ১৩২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের নানা পণ্য ও সেবা তুলে ধরবে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান।</p> <p>আয়োজকরা জানায়, প্রদর্শনীকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচি, স্থানীয় উৎপাদনকারী, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংকস), ক্লাউড, প্রডাক্ট শোকেস, ইনোভেশন, ডিজিটাল লাইফস্টাইল, মেগা সেলস, বিটুবি ম্যাচমেকিং ও হাইটেক পার্ক উল্লেখযোগ্য। যেসব অধুনা প্রযুক্তি ও ধারণা তথ্য-প্রযুক্তির প্রকৃতি ও ব্যবহার অবিশ্বাস্য গতিতে বদলে দিচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটুকু এগোতে পেরেছে তা উপস্থাপন করা হবে এ প্রদর্শনীতে।</p> <p>আজ সকাল ১১টায় মেলা উদ্বোধন করবেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি থাকবেন</p> <p>তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী  জুনাইদ আহেমদ পলক, সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ প্রমুখ।</p> <p>প্রদর্শনী প্রসঙ্গে জুনাইদ আহেমদ পলক বলেন, ‘দেশে এখন স্যামস্যাং যেমন কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক কারখানা স্থাপন করেছে, তেমনিভাবে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনও তাদের মোবাইল সংযোজন কারখানার যাত্রা শুরু করেছে। এ ছাড়া দেশে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উৎপাদন-সংযোজন কারখানা স্থাপনের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিম্ফনি ও আমরা টেকনোলজিস এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠান এলজি ও হুয়াওয়ে। আমরা এখন সংযোজন ও উৎপাদন শুরু করেছি। আশা রাখি বাংলাদেশ আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে শুধু উৎপাদনই করবে না, রপ্তানি করতেও সক্ষম হবে।’ </p> <p>বিসিএসের সভাপতি আলী আশফাক জানান, জনসচেতনতা সৃষ্টি, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি, তরুণদের অংশগ্র্রহণ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ ও উদ্যোক্তা তৈরি করতে সহায়ক হবে এ প্রদর্শনী। এবারের মেলায় আটটি দেশ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবসায়ী, প্রতিনিধি, বক্তা অংশ নিচ্ছে। তারা বিভিন্ন দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিটুবিতে অংশ নেবে। এতে দেশের প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা আরো বাড়বে।</p> <p>সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রদর্শনীতে আরো থাকছে লোকাল ম্যানুফ্যাকচারাস ফোরাম, গেমিং, সেলফি, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মিট দ্য লিডারস, লাইভ ইভেন্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিনা মূল্যে প্রবেশ ও ইন্টারনেট, ডিজিটাল সেবা ইত্যাদি। তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদর্শনী উপলক্ষে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা দেওয়া হবে। প্রদর্শনী চলাকালে মেলা প্রাঙ্গণে ভবিষ্যতের তথ্য-প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কয়েকটি সেমিনার হবে। প্রদর্শনীর মিডিয়া পার্টনার কালের কণ্ঠ ও এটিএন বাংলা।</p> <p>১৮-২০ অক্টোবর পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও মেলায় প্রবেশের জন্য অনলাইন নিবন্ধন বা স্পট নিবন্ধন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলায় থাকবে নিবন্ধন বুথ। এ ছাড়া নিবন্ধনের ওয়েবসাইট (www.ictexpo.com.bd) থেকে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধন করলে কিউআর কোডসহ ভিজিটর কার্ড ও উপহার পাবে দর্শকরা।</p>