<p>বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল পৌনে ৫টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন বার্নিকাট। পৌনে ৭টার দিকে তিনি কার্যালয় ত্যাগ করেন।</p> <p>মার্শা ব্লুম বার্নিকাট প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকের শেষ দিকে কিছু সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্তে আলোচনা করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুধাবন করাটা আমার দায়িত্ব। এরই ধারাবাহিকতায় এই সাক্ষাৎ। সাধারণভাবে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’</p> <p>লিখিত বক্তব্যে বার্নিকাট বলেন, ‘সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেছি। ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রাখব।’</p> <p>এই বৈঠক নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নতুন নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনায় এসেছে। আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে দলের চিন্তাভাবনা অর্থাৎ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়টিও রাষ্ট্রদূতের কাছে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিতে কী রকম পরিবেশ চায় তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না হলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা।</p> <p>বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের পলিটিক্যাল সেশন চিফ আন্দ্রে রড্রিগেজ ও পলিটিক্যাল অফিসার ড্যান রেকব।</p> <p>প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে বার্নিকাটের এটাই প্রথম বৈঠক। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। আর ২০১৪ সালের ২২ মে বার্নিকাটকে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।</p>