<p>মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে আসা মানুষের জন্য বাংলাদেশ যেন নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে, তাও বলেছে সংস্থাটি। ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে।</p> <p>এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে গতকাল আরো তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা। ইউএনএইচসিআর মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। মিয়ানমারের সরকারকেও সেখানকার মানুষদের নিয়ম অনুযায়ী রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে সেখানকার সহিংস পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে যারা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয় ওই বিবৃতিতে।</p> <p>গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইন সীমান্ত চৌকিতে এক হামলার জের ধরে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর পর থেকেই সেখান থেকে নাফ নদ পার হয়ে বাংলাদেশের টেকনাফে ঢোকার চেষ্টা করে অনেকে।</p> <p>এদিকে নাফ নদ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সম্ভাব্য সব পথে নজরদারি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।</p> <p>বিজিবি-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ বলেন, গতকাল আরো তিন প্লাটুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে নজরদারি বাড়াতে। তিনি বলেন, শতভাগ নিশ্ছিদ্র করা না গেলেও সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের পথগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।</p> <p>বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, গত বুধবার রাতে ১৬ জনের একটি দল নদীপথে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁরা তাদের ফেরত পাঠান। তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কি না সেটা নিশ্চিত করেননি তিনি। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, গত বৃহস্পতিবার রাতেও ৭৮ জনের একটি দল প্রবেশ করার চেষ্টা করলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।</p> <p>মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশের গ্রামগুলোতে ৯ অক্টোবরের পর অন্তত ৬৯ জনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে দেশটির সেনাবাহিনী। রাখাইন প্রদেশে সম্প্রতি শুরু হওয়া বিদ্রোহ দমনের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।</p>