বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মতে, যক্ষ্মা শনাক্তের ক্ষেত্রে পরীক্ষাগারে একজন ব্যক্তির দিনে ২০টির বেশি পরীক্ষা করা উচিত হয়। কেননা তাতে রোগ শনাক্তে ভুল হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি থাকে। মানুষের ক্ষেত্রে এমন হলেও যক্ষ্মা শনাক্তে ইঁদুরের পারদর্শিতা কিন্তু অসাধারণ। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে যক্ষ্মা উপদ্রুত দরিদ্র দেশগুলোতে নতুন প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে বেলজিয়ামের বেসরকারি সংস্থা আপোপো। আফ্রিকার বড় আকারের পাউচড ইঁদুরগুলোকে তারা যক্ষ্মা শনাক্তে কাজে লাগাতে চায়। স্থলমাইন শনাক্তে এসব ইঁদুরের খ্যাতি আছে আরো আগে থেকেই। এখন এসব ইঁদুরের চার সপ্তাহ বয়স থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এদের মধ্যে যক্ষ্মা শনাক্ত করার দক্ষতা তৈরি করা হবে।
আপোপোর যুক্তরাষ্ট্র পরিচালক চার্লি রিখটার জানান, একটি প্রশিক্ষিত ইঁদুর ২০ মিনিটের মধ্যে ১০০টি যক্ষ্মার নমুনা শনাক্ত করতে পারবে। এতে খরচ পড়বে মাত্র ২০ সেন্ট। আর্থিক অনটনে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে না পারার কারণে আর সচেতনতার অভাবে যেসব দেশে দ্রুত যক্ষ্মা ছড়িয়ে পড়ে, সেসব দেশে এ প্রযুক্তি কাজে লাগাতে চায় আপোপো।
ডাব্লিউএইচওর হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বে ৯০ লাখ লোক নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়, আর মারা যায় প্রায় ২০ লাখ লোক। এমন পরিস্থিতিতে স্বল্প ব্যয়ের এ পদ্ধতির ব্যাপারে ভীষণ আশাবাদী আপোপো। সূত্র : ডেইলি মেইল।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের