দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে স্লোগান ও লোগো প্রকাশ করেছে বিএনপি। কাউন্সিলের স্লোগান হচ্ছে—‘দুর্নীতি দুঃশাসন হবেই শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ’। আর লোগোতে আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, পাশে লাল-সবুজ পতাকা ও বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়া পল্টনে একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির ব্যবস্থাপনা ও প্রচার উপকমিটির আহ্বায়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই লোগো (প্রতীক) ও স্লোগান তুলে ধরেন। আনুষ্ঠানিকভাবে লোগো উন্মোচন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ শুক্রবার থেকে কাউন্সিলের প্রচারে নামছে বিএনপি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা অন্ধকারে আছি, আলোতে যেতে চাই। কোথাও কোনো গণতন্ত্র নেই।
আমরা এবারের কাউন্সিলের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা, এই কাউন্সিলের মাধ্যমে ত্যাগী, পরীক্ষিত, যোগ্য ও পোড় খাওয়া নেতারা যোগ্যতা অনুযায়ী পদ পাবেন এবং অতীতে যাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই সেই পদ থেকে অপসারণ করে যথাযোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হবে। তাহলে আগামী দিনে নিখোঁজ গণতন্ত্রের পথ চলা শেষ হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কাউন্সিল উপলক্ষে ব্যাপক প্রচারের অংশ হিসেবে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করা হবে। প্রচার উপকমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আমরা আজ থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছি। ১৯ মার্চের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সর্বশেষ তথ্য এই ফেসবুকে পাওয়া যাবে। নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হচ্ছে https:facebook.com/bnpcouncil.’ অনুষ্ঠানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে কাউন্সিলের লোগো ও পোস্টার এবং উদ্দেশ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়। এতে একদলীয় গণতন্ত্র, রাজনৈতিক অসমতা, দুর্নীতি, দুঃশাসন, মিথ্যা প্রভৃতির অবসানে তৈরি স্লোগান ও পোস্টার প্রদর্শন করা হয়।
কাউন্সিল উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে সাদা টি-শার্ট। এগুলো কাউন্সিলে নেতাকর্মীরা পরবেন। এই টি-শার্টের ডানদিকে আসন্ন কাউন্সিলের লোগো এবং বাম দিকে ২০১৩ সালের প্রস্তুাবিত লোগো রয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, ‘প্রতি তিন বছর অন্তর দলের কাউন্সিল হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও আমরা ২০১৩ সালে সব প্রস্তুতি নিয়েও কাউন্সিল করতে পারিনি। ওই সময় কাউন্সিলের ঠিক আগ মুহৃর্তে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ রাতের অন্ধকারে তল্লাশি চালিয়ে ১৫৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ওই কাউন্সিল আমাদের করতে দেওয়া হয়নি। সে সময় কাউন্সিলের জন্য তৈরি লোগোসংবলিত টি-শার্ট প্রস্তুত করা হয়েছিল, যা আমরা এবার ব্যবহার করছি ২০১৬ সালে কাউন্সিলের লোগো পাশে রেখে।’
কাউন্সিল উপলক্ষে দলের ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জন্য আলাদা পোস্টার ও স্লোগান তৈরি করা হয়েছে। যুবদলের স্লোগান ‘তারুণ্যে যারা অকুতোভয়, তারাই আনবে সূর্যোদয়’, কৃষক দলের ‘ফলাবো ফসল, গড়বো দেশ, গণতন্ত্রে বাংলাদেশ’, মুক্তিযোদ্ধা দলের ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র, মুক্ত করো গণতন্ত্র’, শ্রমিক দলের ‘শ্রম দিয়ে শিল্প গড়বো, দেশের আঁধার ঘুচিয়ে দেবো’, মহিলা দলের ‘চেতনায় নারী, বিপ্লবে নারী, গণতন্ত্র ফেরাতে আমরাই পারি’, ছাত্রদলের ‘বাঁচতে চাই, পড়তে চাই, দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই’, স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘আলোর দিন দূরে নয়, করতে হবে আঁধার জয়’ জাসাসের ‘গাইবো মোরা গণতন্ত্রের গান, দুঃশাসনের হবেই অবসান,’ তাঁতীদলের ‘শক্ত হতে বাঁধো তাঁত, কাটাতে হবে আঁধার রাত’, মৎস্যজীবী দলের ‘জালের টানে ঘুচবে আঁধার, বাংলাদেশ সবার’ এবং ওলামা দলের স্লোগান ‘জিয়ার আদর্শে দেশ গড়বো, ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রাখবো’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, দলের নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জহিরুল ইসলাম শাহজাদা মিয়া, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন, আনোয়ার হোসাইন, কণ্ঠশিল্পী মনির খান, রাজীব আহসান, আমীনুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের