<p>সংশোধিত নতুন মজুরি নিয়ে আন্দোলন করায় তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ১১ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল অব ইউনিয়নস (আইবিসি)। এ ছাড়া সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ৩৪টি মামলায় প্রায় ৩৫০০ জন শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে এবং শতাধিক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল, গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকদের মুক্তি এবং মামলা ও হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইবিসির চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল হক আমিন, আইবিসির সাবেক মহাসচিব মো. তৌহিদুর রহমান, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বাবুল আক্তার, আইবিসির কেন্দ্রীয় নেতা নাজমা আক্তার প্রমুখ।</p> <p>সংগঠনের নেতারা জানান, গত ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে গার্মেন্ট শিল্পে ঘোষিত নিম্নতম মজুরি নিয়ে শ্রম অসন্তোষকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে বিভিন্ন কারখানার মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি এবং গণহারে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবিতে তাঁদের এই সংবাদ সম্মেলন। মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন বলেন, মামলায় আসামি করা বা চাকরিচ্যুত করার ক্ষেত্রে মালিকদের প্রধান টার্গেট হচ্ছে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে কারা যুক্ত আছেন বা ছিলেন। অতীতে কোন কোন শ্রমিক শ্রম অধিকার বিষয়ে কারখানার অভ্যন্তরে সোচ্চার ছিল তাদের বেছে বেছে মামলায় আসামি করা বা চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমানে ইউনিয়ন আছে বা ইউনিয়ন প্রক্রিয়াধীন আছে এমন সব কারখানার কমিটিতে থাকা শ্রমিকসহ যারা ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ে সক্রিয় তাদের বেছে বেছে চাকরিচ্যুত করছে।</p> <p>বিজিএমইএর শ্রমিকদের ডাটা বেইস কার্যক্রমের নামে শ্রমিকরা স্থায়ীভাবে চাকরি হারানোর উদ্যোগ উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, এই ডাটা বেইস যদি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুনরায় চাকরি নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাহলে আইবিসি তা মেনে নেবে না।</p> <p>অবিলম্বে ৫ দাবিসমূহ বাস্তবায়নে কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, আইবিসি তার নিজস্ব অবস্থান থেকে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করতে বাধ্য হবে। দাবিগুলো হলো; সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকদের মুক্তি, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, সব ধরনের নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ এবং মজুরির গেজেট প্রকাশের পর থেকে প্রডাকশনের নামে টার্গেট দিয়ে চলমান শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করা।</p>