<p>কিশোরগঞ্জের কালিয়াচাপড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে গাড়ি কারখানা স্থাপন করছে ভারতের টাটা মোটরস। গতকাল বুধবার থেকে মোটরগাড়ি কারখানার জন্য যন্ত্রপাতি আসা শুরু হয়েছে। বেলা ২টার দিকে কারখানা স্থাপনের মূলধনী যন্ত্রপাতি নিয়ে দুটি লরি অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবেশ করে। খুব দ্রুত এসব যন্ত্রপাতি ও মেশিন চলে আসবে বলে জানিয়েছেন টাটা মোটরসের প্রতিনিধি অমিতাভ রায়। এটিই কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথম কারখানা।</p> <p>এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা সাজ্জাদ হাসান ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন ভারতের টাটা মোটরস লিমিটেডের বাংলাদেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিতা কম্পানি লিমিটেডের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা অমিতাভ রায়কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাঁরা এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বড় ধরনের একটি গাড়ির কারখানা গড়ে তুলবেন। আগামী এক বছরের মধ্যে কারখানাটি উৎপাদনে যাবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি এলাকার লোকজনের কর্মসংস্থান হবে।</p> <p>মোস্তফা সাজ্জাদ হাসান বলেন, এই উদ্যোগ অর্থনৈতিক অঞ্চলের চেহারা বদলে দেবে। শুধু মোটরগাড়ির কারখানা নয়, টাটার আরেকটি স্টিল কারখানা হচ্ছে এখানে। এ কারখানা থেকে টাটা শক্তি নামে ঢেউটিন উৎপাদন হবে। তা ছাড়া নিটল-নিলয় গ্রুপ বড় আকারের সিরামিকও স্থাপন করবে।</p> <p>তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি আরো কিছু গ্রুপ কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে। আশা করছি, আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে এলাকার কোনো লোক বেকার থাকবে না।</p> <p>স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যে এলাকাটিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়েছে, সেখানে একসময় কালিয়াচাপড়া চিনিকল ছিল। মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার শত শত মানুষ তাদের কর্ম হারায়। তবে দেরিতে হলেও এখানে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়েছে।</p> <p>যাতে নতুন নতুন কারখানার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এসব কারখানায় স্থানীয় লোকজনই বেশি কাজ করবে।</p> <p>কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন লিমিটেডের (কেইজেড) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ৯২ একর জমিতে স্থাপিত এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শেষ হয়ে আসছে।</p> <p>একদিকে ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে, অন্যদিকে কল-কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। তারা আরো জোরেশোরে কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যেন আগামী ছয়-সাত মাসের মধ্যে গাড়ি কারখানাটি চালু করা যায়।</p>