<p>দেশে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের বাণিজ্যিক ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। কিন্তু গৃহস্থালিতে ব্যবহারের হার একইভাবে বাড়েনি। এর প্রধান দুটি কারণ হলো বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক অবস্থায় তৃণমূলে প্রয়োজন হলেও কেনার সামর্থ্য কম, অন্যটি হলো দুর্ঘটনাজনিত ভয়। জনগণের আস্থা অর্জন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে উৎপাদন খরচ কমানোর কার্যকর কৌশল ও মূল্য নির্ধারণে উদ্ভাবনী হতে হবে। একই সঙ্গে বাজার থেকে সব নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার সরিয়ে ফেলতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পঞ্চম এশিয়া এলপিজি সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন।</p> <p>দুই দিনব্যাপী পঞ্চম এশিয়া এলপিজি সামিট শুরু হয়েছে রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছ ও নবরাত্রি হলে। অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি অতিথিরা এলপিজির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কয়েকটি আলোচনায় অংশ নেন। সম্মেলন উপলক্ষে স্টল ও প্রদর্শনী চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।</p> <p>সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাসাবাড়িতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার এখন আর উপযুক্ত নয় বরং অপচয়। এ অবস্থায় এলপিজিই বড় সমাধান। এটিকে কিভাবে আরো গ্রাহকবান্ধব এবং নিরাপদ করা যায় তা নিয়ে উদ্যোক্তাদের কাজ করতে হবে। জনগণের সাধ্যের মধ্যে এর দাম না থাকলে তা বিলাসপণ্য হিসেবে গণ্য হবে। নিত্যদিনের পণ্য হয়ে উঠবে না।</p> <p>বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সালমান এফ রহমান বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট মোকাবেলায় বাসাবাড়িতে এলপি গ্যাস এবং পরিবহনে অটো গ্যাসের ব্যবহার হতে পারে বড় সমাধান। এলপিজি নিয়ে নীতিগত ঘাটতি অনেকটাই দূর হয়েছে। এখন গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এর দাম রেখে বাজারজাত করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।</p> <p>অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি আজম জে চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ওয়ার্ল্ড এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল কেলি, এলপিজি সামিটের পরিচালক ভিনসেন্ট চয়।</p> <p>‘বাংলাদেশের এলপিজি এবং জ্বালানি বাজার উন্নয়নের সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, ইন্ট্রাকো গ্রুপের পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মো. আকতার কামাল, চুয়েটের পরিচালক অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলাম এবং একই প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক ড. সৈয়দ আবু নাহিয়ান। এটি সঞ্চালনা করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন।</p>