<p>বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বচ্ছতা বাড়ানো, কম সময় ও কম খরচে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। এ জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ কোনো রকম কাগজের নথিপত্র ছাড়াই বাণিজ্য (পেপারলেস ট্রেড) কার্যক্রম বাস্তবায়নে সক্ষমতা অর্জন করেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম পেপারলেস ট্রেড চালু করার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।</p> <p>গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (আসেম) এর সপ্তম ইকোনমিক মিনিস্টার্স মিটিংয়ে (ইএমএম) বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি ইউরেশিয়া কানেকটিভিটি, ই-কমার্স ও ডিজিটাল বাণিজ্যের ওপর জোর দেন।</p> <p>বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে হলে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। বাণিজ্য জটিলতা কমানো, সহজে জ্বালানি পাওয়া, তথ্য-প্রযুক্তি ও এ অঞ্চলের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।</p> <p>তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ২০ শতাংশে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে অবকাঠামো প্রস্তুত করছে। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য ক্ষেত্রে সেবাদানকারী অফিসগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। এতে বাণিজ্যে খরচ, সময় ও আনুষ্ঠানিকতা অনেক কমে এসেছে। সরকারি দপ্তরগুলোকে ই-গভর্ন্যান্সের আওতায় এনে পেপারলেস করা হচ্ছে।</p> <p>এশিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধ স্থাপনের জন্য এ দুই অঞ্চলের ২৬টি দেশের সমন্বয়ে ১৯৯৬ সালে আসেম নামের জোট গঠিত হয়। বর্তমানে এ জোটের সদস্যসংখ্যা ৫৩।</p>