<p>চীনের অর্থনীতি এ বছর ৬.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। আগামী বছর প্রবৃদ্ধি আরো কমে হবে ৬.৫ শতাংশ। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে প্রবৃদ্ধি জোরালো করতে নীতিগত সহায়তা অব্যাহত রাখা হলেও অর্থনীতি শ্লথ থাকবে। গত সোমবার রয়টার্স প্রকাশিত এক জরিপে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।</p> <p>৫৯ জন অর্থনীতিবিদকে নিয়ে করা রয়টার্সের এ জরিপে দেখা যায়, এ বছর চীনের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি আশা করা হয়েছে ৬.৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬.৩ শতাংশ। জরিপে আরো বলা হয়েছে, চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৬.৬ শতাংশ।</p> <p>জরিপে বলা হয়, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশটি নানা চেষ্টা করেও শ্লথ অর্থনীতি কাটিয়ে উঠতে পারছে না। বিশ্ববাজারে দেশটির পণ্য চাহিদা কমে যাওয়া, অতিরিক্ত শিল্প সক্ষমতা কমানোর চেষ্টা এবং বিপুল পরিমাণ সরকারি ঋণ থাকায় অর্থনৈতিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। বিশেষ করে দেশটির আবাসন খাতে মূল্য সংশোধন অর্থনীতিতে বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে।</p> <p>অন্যদিকে গত এক বছরে বেসরকারি বিনিয়োগও কমেছে। গত মাসে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা জানিয়েছে, চীনের রপ্তানি কমার কারণে বিশ্ব বাণিজ্য ১.৭ শতাংশ কমবে।</p> <p>এদিকে চীন সরকার সমর্থিত থিংক ট্যাংক চায়না একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (সিএএসএস) এর আগে জানিয়েছিল, বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ৬.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে চীন। পুরো বছরের হিসাবে প্রবৃদ্ধি আসবে ৬.৭ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির মতে, বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে সরকারের হিসাব থেকে কিছুটা কমবে প্রবৃদ্ধি, তবে তা ভারসাম্যপূর্ণই থাকবে।</p> <p>সংস্থার গবেষক ওয়াং হোনঝু সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘অর্থনীতিকে স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিতে হলে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বজায় রাখতে হবে, সরবরাহ ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে, অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হবে এবং অর্থনীতিতে যেসব গোপন ঝুঁকি রয়েছে তার সমাধান করতে হবে। রয়টার্স।</p>