<p>২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় (লিখিত) মোট ৩০০ নম্বরের প্রশ্ন হবে</p> <p>উদ্দীপক : মানবদেহের অভ্যন্তরীণ কাঠামো এ ধরনের টিস্যু দ্বারা গঠিত। দুই বা ততোধিক অস্থির সংযোগস্থল স্থিতিস্থাপক রজ্জুর মতো বন্ধনী দিয়ে দৃঢ়ভাবে আটকানো থাকে।</p> <p>ক) LDL-এর পূর্ণ নাম ইংরেজিতে লেখো।</p> <p>খ) টেন্ডন বলতে কী বোঝায়?</p> <p>গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত অস্থির সংযোগস্থলের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।</p> <p>ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত অস্থির সংযোগস্থলের প্রকারভেদগুলো পরস্পর পৃথক—ব্যাখ্যা করো।</p> <p> </p> <p>উত্তর : ক) LDL-এর পূর্ণ নাম হলো ইংরেজিতে Low density Lipoprotein|</p> <p>খ) মাংসপেশির প্রান্তভাগ রজ্জুর মতো শক্ত হয়ে অস্থিগহ্বরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এই শক্ত প্রান্তকে টেন্ডন বলে। ঘন শ্বেততন্তুময় যোজক টিস্যুর দ্বারা টেন্ডন গঠিত হয়। টেন্ডনের টিস্যু শাখা-প্রশাখাবিহীন হয়ে থাকে।</p> <p>গ) উদ্দীপকে সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধির কথা বলা হয়েছে। এর চিহ্নিত চিত্র নিচে অঙ্কন করা হলো—</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2019/January/04-01-2018/15/KK_ST_3-GA.jpg" style="height:151px; width:300px" /></p> <p>ঘ) দুই বা ততোধিক অস্থির সংযোগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে। দেহের সব অস্থিসন্ধি এক রকম নয়। এদের কোনোটি একেবারে অনড় আবার কোনোটি সহজে সঞ্চালন করা যায়। নিম্নে অস্থির সংযোগস্থলের প্রকারভেদগুলো পরস্পর পৃথক, তা ব্যাখ্যা করা হলো। যথা—</p> <p>১) নিশ্চল অস্থিসন্ধি : নিশ্চল অস্থিসন্ধিগুলো অনড় অর্থাৎ নাড়ানো যায় না। যেমন—করোটিকা অস্থিসন্ধি।</p> <p>২। ঈষৎ সচল অস্থিসন্ধি : এসব অস্থিসন্ধি একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলেও সামান্য নড়াচড়া করতে পারে; ফলে আমরা দেহকে সামনে, পেছনে ও পাশে বাঁকাতে পারি। যেমন—মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধি।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2019/January/04-01-2018/15/KK_ST_3A.jpg" style="float:left; height:663px; margin:12px; width:200px" />৩। পূর্ণ সচল অস্থিসন্ধি : এসব অস্থিসন্ধি সহজে নড়াচড়া করানো যায়। এ-জাতীয় অস্থিসন্ধির মধ্যে বল ও কোটরসন্ধি, কবজাসন্ধি প্রধান।</p> <p>৪। বল ও কোটরসন্ধি : বল ও কোটরসন্ধিতে সন্ধিস্থলে একটি অস্থির মাথার মতো গোল অংশ অন্য অস্থির কোটরে এমনভাবে স্থাপিত থাকে যাতে অস্থিটি বাঁকানো, পার্শ্ব চালনা ও সব দিকে নাড়ানো সম্ভবপর হয়।</p> <p>৫। কবজিসন্ধি : কবজা যেমন দরজার পাল্লাকে কাঠামোর সঙ্গে আটকে রাখে, সে রূপ কবজার মতো সন্ধিকে কবজিসন্ধি বলে। যেমন—হাতের কনুই, জানু এবং আঙুলগুলোতে এ ধরনের সন্ধি দেখা যায়। এসব সন্ধি শুধু একদিকে নাড়ানো যায়।</p> <p> </p> <p>অতএব, গঠন ও কাজের  পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত অস্থির সংযোগস্থলের প্রকারভেদগুলো পরস্পর পৃথক।</p>