<p style="text-align: center;"><strong>প্রথম অধ্যায়</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা</strong></p> <p><strong>উদ্দীপকটি পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :</strong></p> <p>জনাব তৃষা একজন ব্যবসায়ী। তিনি চীন থেকে কাপড়, বুতাম, সুতা ইত্যাদি আমদানি করে পোশাক তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেন। নানা কারণে ফরমায়েশকৃত পণ্য ২০ দিন বিলম্বে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। শীত মৌসুম প্রায় শেষ হওয়ায় তৈরীকৃত পণ্য কম দামে দেশের অভ্যন্তরে বিক্রি করতে বাধ্য হন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয়।</p> <p>ক) আমদানি কী?</p> <p>খ) শিল্প বলতে কী বোঝো?</p> <p>গ) জনাব তৃষা কোন ধরনের বৈদেশিক বাণিজ্য করেন? ব্যাখ্যা করো।</p> <p>ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের লোকসান কমানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায় সহায়ক কোন কাজটি অবদান রাখত বলে তুমি মনে করো? যুক্তি দাও।</p> <p>উত্তর : ক) বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে আনাকে আমদানি বলে।</p> <p>খ) শিল্প উৎপাদনের বাহন। ব্যবসায়ের উৎপাদনসংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পাদন করে শিল্প। প্রকৃতি প্রদত্ত উপায়-উপকরণ ব্যবহার করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী পণ্য ও সেবাসামগ্রী উৎপাদনের সমন্বিত কর্মপ্রচেষ্টাকেই শিল্প বলে।</p> <p>অর্থাৎ মানুষের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য বা সেবাসামগ্রী উৎপাদন করাই শিল্পের কাজ।</p> <p>গ) উদ্দীপকে বর্ণিত ব্যবসাটি হলো পুনঃ রপ্তানি। বিদেশ থেকে পণ্যসামগ্রী আমদানি করে তা আবার অন্য দেশে রপ্তানি করা হলে তাকে পুনঃ রপ্তানি বলে। উদ্দীপকে দেখা যায়, জনাব তৃষা চীন থেকে কাপড়, সুতা, বোতাম ইত্যাদি আমদানি করে শীতবস্ত্র তৈরি করে তা আবার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেন, যা বৈদেশিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা পুনঃ রপ্তানির অন্তর্ভুক্ত। তিনি একদিকে আমদানিকারক এবং অন্যদিকে রপ্তানিকারক। বৈদেশিক বাণিজ্যের তিনটি রূপ হলো যথাক্রমে আমদানি, রপ্তানি এবং পুনঃ রপ্তানি। বিদেশ থেকে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে আনাকে আমদানি বলে, অন্যদিকে বিদেশে পণ্য বিক্রয় করাকে রপ্তানি বলে।</p> <p>বিদেশে থেকে পণ্যসামগ্রী আমদানি করে তা আবার অন্য দেশে রপ্তানি করা হলে তাকে পুনঃ রপ্তানি হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো ব্যক্তিগত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় কার্য হলে সেটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হবে না।</p> <p>ঘ) জনাব তৃষা যদি সঠিক সময়ে সরবরাহকারীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ (কাপড়, বোতাম, সুতা ইত্যাদি) সংগ্রহ করতে পারতেন, তা হলে যথাসময়ে পোশাক তৈরি করতে পারতেন।</p> <p>একজন দক্ষ ব্যবসায়ীকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হয়, যেন প্রয়োজনীয় উপকরণের স্বল্পতা উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে। অন্যদিকে ক্রেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতে হয়, যেন যে কোনো তুচ্ছ কারণে অর্ডার বাতিল হতে না পারে। এ ক্ষেত্রে জনাব তৃষা চীনের সরবরাহকারীকে পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে পণ্যের ফরমায়েশ দিলে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বে তাঁর উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটত না এবং তিনি যথাসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারতেন অথবা বিলম্বের বিষয়টি পূর্বানুমান করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত সময় পাওয়ার চেষ্টা করতে পারতেন। তবে প্রথম বিকল্পটিই উত্তম। আর এভাবেই লোকসানের হাত থেকে ব্যবসাকে রক্ষা করা যেত।</p>