<p>সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তে অবদানের জন্য বিখ্যাত রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩)। তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্মীয় এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পরিচিত আছেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও। জন্ম অবিভক্ত ভারতের হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে। অল্প বয়সেই রামমোহন গৃহত্যাগ করে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ান। সংস্কৃতে পাণ্ডিত্য লাভ করেন তন্ত্রশাস্ত্রবেত্তা নন্দকুমার বিদ্যালংকারের কাছে। বাংলা ও হিন্দির পাশাপাশি আয়ত্ত করেন আরবি, ফারসি, ইংরেজি, গ্রিক ও হিব্রু ভাষা। ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির কর্মচারী ছিলেন। একপর্যায়ে রামমোহন সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারে আগ্রহী হন। সতীদাহ প্রথা বন্ধ করতে জনমত গড়ে তোলেন এবং সরকারকে প্রভাবিত করেন। ১৮২১ সালে তিনি ‘সম্বাদ কৌমুদী’ নামে বাংলা সংবাদপত্র ও ১৮২২ সালে ‘মিরাত-উল-আখবার’ নামে ফারসি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। ইংরেজ গভর্নর ভারতীয় প্রেসের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করলে রামমোহন প্রতিবাদ জানান। ১৮৩০ সালে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন এবং ভার দেন যুক্তরাজ্যে গিয়ে রাজদরবারে সম্রাটের ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করার। সে সময়ে তিনি ফ্রান্সও সফর করেছিলেন। ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল ভ্রমণকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ওখানেই মারা যান।  </p> <p> </p>