<p style="text-align: center;"><strong>সৃজনশীল প্রশ্ন</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>দ্বিতীয় অধ্যায়</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>জীব কোষ ও টিস্যু</strong></p> <p><strong>১। চিত্রটি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :</strong></p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/Print- 2018/06 June/12-06-2018/Kalerkantho_18-06-12-29.jpg" style="height:137px; width:300px" /></p> <p>ক) প্রকৃত কোষ কী?      ১</p> <p>খ) কার্ডিয়াক পেশি ব্যাখ্যা করো।      ২</p> <p>গ) উদ্দীপকের ‘A’ চিহ্নিত অংশের গঠন ব্যাখ্যা করো।   ৩</p> <p>ঘ. উদ্দীপকের ‘X’ ও ‘Y’-এর গঠন ও কার্যিক মিল-অমিল বিশ্লেষণ করো।        ৪</p> <p><strong>উত্তর :</strong></p> <p>ক) যেসব কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিদ্যমান থাকে, তাদের প্রকৃত কোষ বলে।</p> <p>খ) কার্ডিয়াক পেশি এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি। অর্থাৎ এ পেশির টিস্যুর সংকোচন ও প্রসারণ প্রাণীর ইচ্ছাধীন নয়। এই টিস্যুর কোষগুলো নলাকৃতির শাখান্বিত ও আড়াআড়ি দাগযুক্ত। এই টিস্যুর কোষগুলোর মধ্যে ইন্টারক্যালাটেড ডিস্ক থাকে। এই পেশি রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া সচল রাখে।</p> <p>গ) উদ্দীপকের প্রথম চিত্রটি হলো একটি উদ্ভিদ কোষের। চিত্রের A চিহ্নিত অংশটি হলো উদ্ভিদ কোষপ্রাচীর। নিম্নে কোষপ্রাচীরের গঠন ব্যাখ্যা করা হলো—</p> <p>উদ্ভিদ কোষপ্রাচীর মৃত বা জড়বস্তু দ্বারা গঠিত। এতে সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ, লিগনিন, পেকটিন, সুবেরিন নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। তবে ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীর প্রোটিন, লিপিড ও পলিস্যাকারাইড দ্বারা গঠিত এবং ছত্রাকের কোষপ্রাচীর কাইটিন নির্মিত।</p> <p>প্রাথমিক কোষপ্রাচীরটি এক স্তরবিশিষ্ট। মধ্যপর্দার ওপর প্রোটোপ্লাজম থেকে নিঃসৃত কয়েক প্রকারের রাসায়নিক দ্রব্য জমা হয়ে ক্রমেই গৌণ প্রাচীর সৃষ্টি হয়।</p> <p>কোষপ্রাচীর কোষকে দৃঢ়তা প্রদান করে। এটি কোষের আকার ও আকৃতি বজায় রাখে।</p> <p>ঘ) উদ্দীপকের x চিত্রটি হলো ট্রাকিড। এটি জাইলেম টিস্যুর অংশ। আবার Y চিত্রটি হলো স্ক্লেরেনকাইমা। এটি সরল টিস্যুর প্রকার।</p> <p>নিম্নে ট্রাকিড ও স্ক্লেরেনকাইমার গঠন ও কার্যিক মিল-অমিল বিশ্লেষণ করা হলো—</p> <p>এদের মিল হলো উভয়ের কোষগুলো লম্বা ও পুরু প্রাচীরবিশিষ্ট হয়। উভয়ের কোষপ্রাচীরে লিগনিন জমে পুরু হয়। উভয়ই নগ্নবীজী উদ্ভিদে পাওয়া যায়। উভয়ই উদ্ভিদের কোষকে দৃঢ়তা প্রদানসহ পানি ও খনিজ লবণ পরিবহনে সাহায্য করে।</p> <p>এদের অমিল রয়েছে। ট্রাকিড হলো এক প্রকার জটিল টিস্যু। অন্যদিকে স্ক্লেরেনকাইমা হলো এক প্রকার সরল টিস্যু। ট্রাকিডের কোষগুলো পুরুত্বানুসারে কয়েক ধরনের হয়। যেমন—বলায়াকার, সর্পিলাকার, সোপানাকার, জালিকাকার ও কূপাঙ্কিত। অন্যদিকে স্ক্লেরেনকাইমার কোষগুলো প্রধানত দুই ধরনের হয়। যেমন—ফাইবার ও স্ক্লেরাইড। ট্রাকিডের  প্রান্তদ্বয় সব সময় সরু ও সুচালো হয়ে থাকে। অন্যদিকে স্ক্লেরেনকাইমার ফাইবারের কোষের প্রান্ত সরু হলেও কখনো ভোঁতা হতে পারে।</p> <p>সুতরাং বলা যায় যে উদ্দীপকে উল্লিখিত ট্রাকিড (x) ও স্ক্লেরেনকাইমা (Y)-এর মধ্যে বেশ মিল ও অমিল বিদ্যমান।</p> <p><strong>২। চিত্রটি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :</strong></p> <p><strong><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/Print- 2018/06 June/12-06-2018/Kalerkantho_18-06-12-30.jpg" style="height:118px; width:300px" /></strong></p> <p>ক) লসিকা কী?     ১</p> <p>খ) ফটোলাইসিস প্রক্রিয়া কী ব্যাখ্যা করো।        ২</p> <p>গ) ‘S’ চিহ্নিত অংশটি কী? বর্ণনা করো।       ৩</p> <p>ঘ. উদ্দীপকে ‘x’ ও ‘Y’-এর গঠন ও কার্যিক মিল-অমিল বিশ্লেষণ করো।     ৪</p> <p><strong>উত্তর : </strong></p> <p>ক) লসিকা ঈষঃক্ষারীয় স্বচ্ছ হলুদ বর্ণের তরল পদার্থ।</p> <p>খ) সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিলের সাহায্যে পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজন, হাইড্রোজেন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন করে। এই প্রক্রিয়াকে পানির ফটোলাইসিস বলে।</p> <p>এই অক্সিজেন বায়ুতে যায়, 2H+, NADP-কে বিজারিত করে NADPH+H+ উৎপন্ন করে, ইলেকট্রন (2e-) ফটোসিস্টেম-২ এ যায়।</p> <p>গ) উদ্দীপকের ‘S’ চিহ্নিত অংশটি হলো সিভকোষ। নিম্নে এর বর্ণনা করা হলো—</p> <p>সিভকোষ বিশেষ ধরনের কোষ। দীর্ঘ, পাতলা কোষপ্রাচীর যুক্ত ও জীবিত এই কোষগুলো লম্বালম্বিভাবে একটির ওপর একটি সজ্জিত হয়ে সিভনল গঠন করে। এদের প্রাচীর লিগনিন যুক্ত। পরিণত সিভকোষে কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না। পাতার প্রস্তুত খাদ্য উদ্ভিদদেহের বিভিন্ন অংশে  পরিবহন করা এদের প্রধান কাজ।</p> <p>ঘ) উদ্দীপকের x হচ্ছে স্ক্লেরেনকাইমা নামক সরল টিস্যু এবং Y হচ্ছে ট্রাকিড ও ভেসেল নামক জটিল টিস্যু।</p> <p>নিম্নে স্ক্লেরেনকাইমা এবং ট্রাকিড ডেসেলের গঠন ও কার্যিক মিল-অমিল বিশ্লেষণ করা হলো—</p> <p>স্ক্লেরেনকাইমা এবং ট্রাকিড ও ভেসেল উভয়ের কোষগুলো লম্বা ও পুরু প্রাচীর বিশিষ্ট। এদের কোষপ্রাচীরে লিগানিন জমা হয়ে পুরু হয়। তাই এরা উদ্ভিদ কোষকে দৃঢ়তা প্রদানসহ পানি ও খনিজ লবণ পরিবহনে সাহায্য করে। উভয়কেই নগ্নজীবী উদ্ভিদে পাওয়া যায়।</p> <p>স্ক্লেরেনকাইমা একপ্রকার সরল টিস্যু। অন্যদিকে ট্রাকিড ও ভেসেল হচ্ছে জটিল টিস্যু। স্ক্লেরেনকাইমার ফাইবারের কোষের প্রান্ত সরু হলেও কখনো ভোঁতা হতে পারে। অন্যদিকে ট্রাকিড ও ভেসেলের প্রান্তদ্বয় সব সময় সরু ও সূঁচালো হয়ে থাকে।</p>