<p><strong>নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করো :</strong></p> <p>A<span style="font-size:26px"><strong>→</strong></span>শামুক; B<span style="font-size:26px"><strong>→</strong></span>তারা মাছ; C<span style="font-size:26px"><strong>→</strong></span> মাগুর মাছ।</p> <p>ক) শ্রেণিবিন্যাস কী?        ১</p> <p>খ) শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।       ২</p> <p>গ) ‘A’ পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করো।       ৩</p> <p>ঘ) উদ্দীপকের B ও C একই শ্রেণিভুক্ত কি না তার যৌক্তিক মতামত দাও।   ৪</p> <p>উত্তর : ক) বিশাল জীবজগেক জানার জন্য এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো হয়। জীবজগেক ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।</p> <p>খ) শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ—</p> <p>১. শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে পৃথিবীর সব উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্পর্কে জানা যায়।</p> <p>২. নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাস অপরিহার্য।</p> <p>৩. প্রাণিকুলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়।</p> <p>৪. প্রাণী সম্পর্কে সামগ্রিক ও পরিকল্পিত জ্ঞান অর্জন করা যায়।</p> <p>গ) A পর্বের প্রাণীটি হলো শামুক। অর্থাৎ শামুক মলাস্কা পর্বের প্রাণী।</p> <p>নিম্নে মলাস্কা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো—</p> <p>১. দেহ নরম। নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে।</p> <p>২. পেশিবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে।</p> <p>৩. ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শ্বসনকার্য চালায়।</p> <p>ঘ) উদ্দীপকে B হলো তারামাছ। এটি একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণী। এর বৈশিষ্ট্য নিম্নে দেওয়া হলো—</p> <p>১. দেহত্বক কাঁটাযুক্ত</p> <p>২. দেহ পাঁচটি সমান ভাগে বিভক্ত</p> <p>৩. পানি সংবহনতন্ত্র থাকে এবং নালিপদের সাহায্যে চলাচল করে</p> <p>৪. পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে, অঙ্কীয় ও পৃষ্ঠদেশ নির্ণয় করা যায়; কিন্তু মাথা চিহ্নিত করা যায় না।</p> <p>উদ্দীপকে C হলো মাগুর মাছ। এটি অস্টিকথিস শ্রেণির প্রাণী। এর বৈশিষ্ট্য নিম্নে দেওয়া হলো—</p> <p>১. মাগুর মাছ স্বাদু পানির মাছ</p> <p>২. মাথার দুই পাশে চার জোড়া ফুলকা থাকে</p> <p>৩. ফুলকাগুলো কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে।</p> <p> </p>