<p>চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/Print- 2018/01 January/24-01-2018/kalerkantho-4-2018-01-24-02.jpg" style="height:254px; width:300px" /></p> <p>ক) দন্তমজ্জা কী?                 ১</p> <p>খ) অগ্ন্যাশয়কে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয় কেন?                ২</p> <p>গ) উদ্দীপকের ‘B’ চিহ্নিত অংশে খাদ্য পরিপাক বর্ণনা করো।               ৩</p> <p>ঘ) চিত্র A চিহ্নিত অংশটির ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।   ৪</p> <p>উত্তর : ক) ডেন্টিনের ভেতরের ফাঁপা নরম অংশকে দন্তমজ্জা বলে।</p> <p>খ) অগ্ন্যাশয় পাকস্থলীর পেছনে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি। এটি একাধারে পরিপাকে অংশগ্রহণকারী এনজাইম ট্রিপসিন, লাইপেজ ও অ্যামাইলেজ নিঃসৃত করে, যা আমিষ, স্নেহ ও শর্করাজাতীয় খাদ্যকে পরিপাকে সহায়তা করে। অন্যদিকে গ্লুকাগন ও ইনসুলিন নামের হরমোন নিঃসৃত করে, যা রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ অগ্ন্যাশয় বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির মতো কাজ করে। তাই অগ্ন্যাশয়কে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয়।</p> <p>গ) উদ্দীপকের ‘B’ চিহ্নিত অংশটি হলো পাকস্থলী। নিম্নে পাকস্থলীতে পরিপাক প্রণালী বর্ণনা করা হলো—</p> <p>পাকস্থলীতে খাদ্য আসার পর অন্তঃপ্রাচীরের গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে গ্যাস্ট্রিক রস ক্ষরিত হয়। এই রসে প্রধান যে উপাদানগুলো থাকে তা হলো—</p> <p>হাইড্রোক্লোরিক এসিড—খাদ্যের মধ্যে অনিষ্টকারী ব্যাকটেরিয়া থাকলে হাইড্রোক্লোরিক এসিড তা মেরে  ফেলে। নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে এবং পাকস্থলীতে পেপসিনের সুষ্ঠু কাজের জন্য অম্লীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে।</p> <p> </p> <p>নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেন  HCI সক্রিয় পেপসিন</p> <p> </p> <p>পেপসিন : এক ধরনের এনজাইম, যা আমিষকে ভেঙে দুই বা ততোধিক অ্যামাইনো এসিড দ্বারা তৈরি যৌগ গঠন করে, যা পলি পেপটাইড নামে পরিচিতি।</p> <p> </p> <p>আমিষ পেপসিন  পলি পেপটাইড</p> <p>শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাদ্য সাধারণত পাকস্থলীতে পরিপাক হয় না। কারণ এদের পরিপাকের জন্য গ্যাস্ট্রিক রসে কোনো এনজাইম থাকে না।</p> <p>পাকস্থলীর অনবরত সংকোচন ও প্রসারণ এবং এনজাইমের ক্রিয়ার ফলে খাদ্য মিশ্র মণ্ডে পরিণত হয়। একে পাকমণ্ড বলে। এই মণ্ড কপাটিকা ভেদ করে ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রবেশ করে।</p> <p>ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত A অংশটি হলো যকৃৎ। যকৃৎ মানবদেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি।</p> <p>যকৃতের ভূমিকা নিম্নরূপ—</p> <p>১। যকৃৎ পিত্তরস তৈরি করে। পিত্তরসের মধ্যে পানি, পিত্তলবণ, কোলেস্টেরল, পিত্তরস ও খনিজ লবণ থাকে। এই রস পিত্তথলিতে জমা থাকে। পিত্তরস ডিওডেনামে এসে পরোক্ষভাবে পরিপাকে অংশ নেয়।</p> <p>২। যকৃৎ উদ্বৃত্ত গ্লুকোজ নিজ দেহে গ্লাইকোজেনরূপে সঞ্চিত থাকে। রক্তে কখনো গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলে যকৃতের সঞ্চিত গ্লাইকোজেনের কিছুটা অংশ গ্লুকোজে পরিণত হয় ও রক্তস্রোতে মিশে যায়। এভাবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।</p> <p>৩। অতিরিক্ত অ্যামাইনো এসিড যকৃতে আসার পর বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে ইউরিয়া, ইউরিক, এসিড ও অ্যামোনিয়ারূপে নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ তৈরি করে।</p> <p>৪। স্নেহজাতীয় পদার্থ শোষণে সাহায্য করে।</p> <p>চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/Print- 2018/01 January/24-01-2018/kalerkantho-4-2018-01-24-02a.jpg" style="height:254px; width:300px" /></p> <p>ক) Explant কী?              ১</p> <p>খ) কালার ব্লাইন্ড কেন হয়?                  ২</p> <p>গ) উদ্দীপকে X- এর কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করো।                  ৩</p> <p>খ) E-এর অনুপস্থিতিতে x-এর কাজে কী প্রভাব পড়বে বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।</p> <p> </p> <p>উত্তর : ক) টিস্যু কালচারের উদ্দেশ্যে উদ্ভিদের যে অংশ পৃথক করে নিয়ে ব্যবহার করা হয় তাকে Explant বলে।</p> <p>খ) চোখের স্নায়ুকোষ রং শনাক্তকারী পিগমেন্টের অনুপস্থিতির কারণে মানুষের কালার ব্লাইন্ড হয়। এটি বংশগত রোগ। বাত রোগের জন্য হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইনিন সেবনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চোখের রঙিন পিগমেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। একটি পিগমেন্ট না থাকলে লাল আর সবুজ পার্থক্য করতে পারে না। একাধিক পিগমেন্ট না থাকার কারণে লাল ও সবুজ রং ছাড়াও রোগী নীল ও হলুদ রং পার্থক্য করতে পারে না।</p> <p>গ) উদ্দীপকের x হলো অ্যালভিওলাস, যা মানবদেহের ফুসফুসে অবস্থিত। অ্যালভিওলাস জীবদেহে গ্যাসীয় বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।</p> <p>অ্যালভিওলাস ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুক্লোম শাখাপ্রান্তে মৌচাকের মতো অবস্থিত। নাসাপথ দিয়ে বায়ু সরাসরি বায়ুথলিতে যাতায়াত করতে পারে। অ্যালভিওলাস পাতলা আবরণীবেষ্টিত এবং প্রতিটি অ্যালভিওলাস কৈশিক নালিকা দ্বারা পরিবেষ্টিত। বায়ু প্রবেশ করলে এগুলো বেলুনের মতো ফুলে উঠে এবং পরে আপনা-আপনি সংকুচিত হয়। অ্যালভিওলাস ও কৈশিক নালিকার গাত্র এত পাতলা যে এর ভেতর দিয়ে গ্যাসীয় আদান-প্রদান ঘটে।</p> <p>ঘ) উদ্দীপকের ‘E’ হলো কৈশিক নালিকা এবং X হলো অ্যালভিওলাস। প্রতিটি অ্যালভিওয়াস কৈশিক নালিকা দ্বারা আবদ্ধ থাকে। কৈশিক নালিকা না থাকলে শ্বসনকার্য ব্যাহত হতো, ফলে জীব প্রজাতি হুমকির মুখে পড়ত। নিচে কৈশিক নালিকার অনুপস্থিতিজনিত প্রভাব যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করা হলো—</p> <p>কৈশিক নালিকাগুলো পালমোনারি ধমনি থেকে সৃষ্টি হয়। কৈশিক নালিকার মধ্যে দিয়ে CO2 সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহিত হয়, যা পরবর্তী সময় অ্যালভিওলাসে প্রবেশ করে। অন্যদিকে অ্যালভিওলাস থেকে O2 সমৃদ্ধ রক্ত কৈশিক নালিকায় প্রবেশ করে এবং কৈশিক নালিকা পথে পালমোনারি শিরায় প্রবেশ করে। কৈশিক নালি থাকার কারণে অ্যালভিওলাসে গ্যাসীয় বিনিময় সহজ হয়। তাই কৈশিক নালিকা অনুপস্থিত থাকলে গ্যাসীয় বিনিময় বাধাগ্রস্ত হতো। অর্থাৎ O2 ও CO2-এর আদান-প্রদান সম্ভব হতো না। ফলে প্রাণিকুল অ্যালভিওলাসে বিপদের সম্মুখীন হতো। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, কৈশিক নালিকার অনুপস্থিতি অ্যালভিওলাসে O2 ও CO2 গ্যাসীয় বিনিময়ে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।</p> <p> </p>