<p>[বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে বায়ুমণ্ডলের কথা উল্লেখ আছে]</p> <p>পৃথিবীর চারপাশে বিভিন্ন গ্যাসমিশ্রিত স্তর আছে। ভূপৃষ্ঠের ওপরের এসব স্তরই হলো বায়ুমণ্ডল (অঃসড়ংঢ়যবত্ব)। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর সঙ্গে সঙ্গে আবর্তিত হয়। সূর্য থেকে অতিবেগুনি রশ্মি নির্গত হয়, তা বায়ুমণ্ডল শোষণ করে নেয়।</p> <p>আগে মনে করা হতো, ভূপৃষ্ঠের ওপরে বায়ুমণ্ডলের একটি মাত্র স্তর আছে। ১৯০২ সালে লিও ফিলিপ গবেষণা করে দেখেন, বায়ুমণ্ডলে কমপক্ষে দুটি স্তর আছে। তিনি স্তরগুলোর নাম দেন—ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। পরে আরো তিনটি স্তর আবিষ্কার হয়—মেসোস্ফিয়ার, থার্মোস্ফিয়ার ও এক্সোস্ফিয়ার। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বায়ুমণ্ডলের স্তর পাঁচটি। ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রপোস্ফিয়ার—</p> <p>এভাবে ওপরে নির্দিষ্ট কিলোমিটার পরপর বিভিন্ন স্তর।</p> <p>বায়ুমণ্ডল মূলত বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণ, জলীয় বাষ্প, জৈব-অজৈব কণিকা নিয়ে গঠিত। বাতাসও এক ধরনের বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাস। শুষ্ক বাতাসে ৭৮.০৯% নাইট্রোজেন, ২০.৯৫% অক্সিজেন থাকে। এ ছাড়া আর্গন ০.৯৩%, কার্বন ডাই-অক্সাইড ০.০৩৯% ও অন্যান্য গ্যাস থাকে।</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>