<p><strong>হাইড্রা </strong></p> <p><strong>দ্বিস্তরী প্রাণী :</strong> যেসব প্রাণীর ভ্রূণ অ্যাক্টোডার্ম ও অ্যান্ডোডার্ম নামক দুটি নির্দিষ্ট স্তরে বিন্যস্ত থাকে, তাদের দ্বিস্তরী প্রাণী বলে।</p> <p><strong>সিলেনটেরন :</strong> দ্বিস্তরী প্রাণী যেমন : Hydra-র দেহের কেন্দ্রস্থলে যে লম্বাকার একটি গহ্বর থাকে, তাকে সিলেনটেরন বলে। এতে খাদ্যের বহিঃকোষীয় পরিপাক এবং খাদ্যসার, শ্বসন ও রেচন পদার্থ পরিবাহিত হয় বলে একে গ্যাস্ট্রোভাস্কুলার গহ্বর বা পরিপাক সংবহন গহ্বর বলা হয়।</p> <p><strong>নিডোসাইট :</strong> Hydra-সহ Cnidaria পর্বের সব প্রাণীতে বহির্ত্বকের দুটি পেশি আবরণী কোষের মধ্যবর্তী স্থানে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ দেখা যায়। এই কোষগুলোকে নিডোসাইট বা নিডোব্লাস্ট বলে। Hydra-র নিডোসাইটের বিভিন্ন নেমাটোসিস্ট খাদ্য ধরা, আত্মরক্ষা, খাদ্যগ্রহণ, চলনে ব্যবহৃত হয়।</p> <p><strong>নেমাটোসিস্ট :</strong> হাইড্রার নিডোসাইট কোষের স্ফীত মধ্যাংশের অভ্যন্তরে তরল পদার্থ ও লম্বা, সরু, ফাঁপা ও প্যাঁচানো সূত্রকসংবলিত ক্ষুদ্র থলিকে নেমাটোসিস্ট বলে। এটি আত্মরক্ষা, চলাচল ও খাদ্য গ্রহণে সাহায্য করে।</p> <p><strong>টটিপটেন্সি :</strong> Cnidaria পর্বের প্রাণীদের ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ প্রয়োজনে যেকোনো কোষ বা অঙ্গে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষমতাকে টটিপটেন্সি বলে।</p> <p><strong>পরিপাক :</strong> যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জটিল জৈব খাদ্যবস্তু বিভিন্ন এনজাইমের সাহায্যে ভেঙে সরল ও তরল্য কোষের শোষণ উপযোগী হয়, তাকে পরিপাক বলে। Hydra-র পরিপাক পর্ব দুটি ধাপে সম্পন্ন হয়। যথা—বহিঃকোষীয় ও আন্তকোষীয় পরিপাক।</p> <p><strong>চলন :</strong> যে প্রক্রিয়ায় জীবদেহ জৈবিক প্রয়োজনে নিজ প্রচেষ্টায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়, তাকে চলন বলে। চলন প্রাণীর একটি সহজাত আচরণ। খাদ্য সংগ্রহ, আত্মরক্ষা, প্রজনন, পরিবেশীয় বিভিন্ন উদ্দীপনা প্রভৃতি কারণে প্রাণী স্থানান্তরে গমন করে।</p> <p><strong>গ্যামিটোজেনেসিস :</strong> যে প্রক্রিয়ায় জনন কোষ (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) সৃষ্টি হয়, তাকে গ্যামিটোজেনেসিস বলে।</p> <p><strong>স্পার্মাটোজেনেসিস :</strong> যে প্রক্রিয়ায় শুক্রাশয়ে শুক্রাণু উৎপন্ন হয়, তাকে স্পার্মাটোজেনেসিস বলে।</p> <p><strong>উওজেনেসিস :</strong> যে প্রক্রিয়ায় ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়, তাকে উওজেনেসিস বলে।</p> <p><strong>মিথোজীবিতা :</strong> যখন দুটি ভিন্ন প্রজাতিভুক্ত জীব ঘনিষ্ঠভাবে সহাবস্থানের ফলে পরস্পরের কাছ থেকে উপকৃত হয় তখন এ ধরনের সাহচর্যকে মিথোজীবিতা বলে।</p> <p> </p> <p><strong>ঘাসফড়িং</strong></p> <p><strong>পঙ্গপাল :</strong> ঘাসফড়িংয়ের যে গণ বা প্রজাতিগুলো দলবদ্ধভাবে বাস করে এবং মাইগ্রেটরি, তারা পঙ্গপাল নামে পরিচিত।</p> <p><strong>মালপিজিয়ান নালিকা :</strong> ঘাসফড়িংয়ের পরিপাক নালিসংলগ্ন কতগুলো সরু নালিকা, যা রেচন কাজ সম্পন্ন করে।</p> <p><strong>অস্টিয়া :</strong> ঘাসফড়িংয়ের <strong>হৃ</strong>ৎপিণ্ড ৭টি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত থাকে। প্রতিটি প্রকোষ্ঠের দুই পাশে একটি করে ছিদ্র থাকে। এদের অস্টিয়া বলে।</p> <p><strong>টিনিডিয়া :</strong> ট্রাকিয়ার অভ্যন্তরীণ গাত্র কাইটিন নির্মিত সর্পিলাকার চক্র দ্বারা সুরক্ষিত। এদের টিনিডিয়া বলে।</p> <p><strong>বায়ুথলি :</strong> ঘাসফড়িংয়ের কতগুলো ট্রাকিয়া প্রসারিত হয়ে বড় এবং পাতলা প্রাচীরবিশিষ্ট বায়ুথলি তৈরি করে। বায়ুথলিগুলো বাতাস সঞ্চিত রাখে।</p> <p><strong>ডায়াপোজ :</strong> প্রতিকূল আবহাওয়ার (শীতকালে) কারণে পতঙ্গের ডিমে পরস্ফুটন বন্ধ থাকে। এ অবস্থাকে ডায়াপোজ বলে।</p> <p><strong>অসম্পূর্ণ রূপান্তর :</strong> আকার, বর্ণ, ডানা ও জনন অঙ্গ ছাড়া যে রূপান্তরে অপরিণত অবস্থায় কোনো প্রাণী পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে রূপ নেয় এবং পূর্ণাঙ্গ প্রাণীর সঙ্গে অপরিণত প্রাণীর আকৃতিগত মিল থাকে, তাকে অসম্পূর্ণ রূপান্তর বলে। অসম্পূর্ণ রূপান্তরের শিশু অবস্থায় প্রাণীকে নিম্ফ বলে। উদাহরণ— ঘাসফড়িং ও তেলাপোকার রূপান্তর।</p> <p><strong>স্ক্লেরাইট :</strong> পতঙ্গ শ্রেণির প্রাণীদের প্রতিটি দেহখণ্ডের কিউটিকলকে স্কেলরাইট বলে।</p> <p><strong>টারগাম :</strong> স্কেলরাইটের পৃষ্ঠীয় অংশকে টারগাম বলে।</p> <p><strong>স্টারনাম :</strong> স্কেলরাইটের অঙ্কীয় অংশকে স্টারনাম বলে।</p> <p><strong>প্লিউরন :</strong> স্কেলরাইটের পার্শ্বীয় অংশকে প্লিউরন বলে।</p> <p><strong>টেগমিনো :</strong> ২ জোড়া ডানা। প্রথম জোড়া ডানা সরু ও শক্ত, একে টেগমিনা বলে। এরা ওড়ার কাজে ব্যবহৃত হয় না। ওড়ার সময় ডানা দুটি প্রসারিত রেখে দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।</p> <p><strong>ক্রপ :</strong> পতঙ্গ শ্রেণির প্রাণীদের পরিপাকনালির অন্ননালির পরবর্তী অংশ। এটি পাতলা প্রাচীরবিশিষ্ট থলির মতো অংশ। এখানে খাদ্য সাময়িকভাবে জমা থাকে।</p> <p><strong>হিপাটিক সিকা :</strong> অগ্র ও মধ্যপৌষ্টিকনালির সংযোগস্থলের ছয় জোড়া ফাঁপা, লম্বা, মোচাকৃতির থলি থাকে। এদের গ্যাস্ট্রিক সিকা বা হিপাটিকা সিকা বলে। গ্যাস্ট্রিক সিকা পাচকরস নিঃসৃত করে।</p> <p><strong>হিমোলিম্ফ :</strong> ঘাসফড়িংয়ের রক্ত বর্ণহীন। এদের রক্তকে হিমোলিম্ফ বলে। হিমোলিম্ফ প্লাজমা ও হিমোসাইট নিয়ে গঠিত।</p> <p><strong>হিমোসিল :</strong> ঘাসফড়িংয়ের দেহগহ্বর রক্ত বা হিমোলিম্ফ দিয়ে পূর্ণ থাকে বলে এদের দেহগহ্বরকে হিমোসিল বলে।</p> <p><strong>টিনিডিয়াম :</strong> ট্রাকিয়ার ভেতরে কাইটিন নির্মিত ইন্টিমা আংটির মতো বলয় গঠন করে। এদের টিনিডিয়াম বলে। টিনিডিয়া থাকায় ট্রাকিয়ার গহ্বর চুপসে যায় না।</p>