<p><strong>১.  প্রাণিবৈচিত্র্য </strong></p> <p>    পৃথিবীর মাটি, বায়ু ও পানিতে বসবাসকারী সব প্রাণীর মধ্যে যে জিনগত, প্রজাতিগত, আন্ত প্রজাতিগত বা বাস্তুতন্ত্রগত বৈচিত্র্য দেখা যায় তাকে প্রাণিবৈচিত্র্য বলে।</p> <p><strong>২.  শ্রেণিবিন্যাস: </strong></p> <p>    পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ভিত্তিতে প্রাণীদের একটি নির্দিষ্ট রীতি অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন স্তরে পর্যায়ক্রমে বিন্যাস করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলা হয়।</p> <p><strong>৩.  ভ্রূণস্তর</strong></p> <p>    জাইগোটে বারবার বিভাজনের মাধ্যমে সৃষ্ট কোষগুলো স্তরে স্তরে সজ্জিত হয়ে গ্যাস্ট্রলা দশায় যে কোষীয় স্তরগুলো সৃষ্টি করে তাদের ভ্রূণস্তর বলে।</p> <p><strong>৪.  প্রতিসাম্য</strong></p> <p>    অক্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোনো প্রাণিদেহের বিভিন্ন অঙ্গের সুষম বণ্টনকে প্রতিসাম্য বলে।</p> <p><strong>৫.  সিলোম</strong></p> <p>    কোনো প্রাণীর পৌষ্টিকনালি ও দেহপ্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান, যা মেসোডার্মাল পেরিটোনিয়াম দ্বারা আবৃত থাকে তাকে সিলোম বলে।</p> <p><strong>৬.  ট্যাক্সন </strong></p> <p>    শ্রেণিবিন্যাসে ব্যবহৃত প্রতিটি ক্যাটাগরিভুক্ত জনগোষ্ঠীকে একেকটি ট্যাক্সন বলে। যেমন, Animalia, Chordata, Mammalia,  Primates, Hominidae, Homo একেকটি ট্যাক্সন।</p> <p><strong>৭.  প্রজাতি </strong></p> <p>    প্রজাতি হলো সর্বাধিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মিলনসম্পন্ন একদল প্রাকৃতিক জীবগোষ্ঠী, যারা নিজেদের মধ্যে যৌন প্রজননের মাধ্যমে উর্বর সস্তান উত্পন্ন করে। শ্রেণিবিন্যাস স্তরের সর্বনিম্ন ধাপ ও মৌলিক একক হলো প্রজাতি।</p> <p><strong>৮.  উপপ্রজাতি</strong></p> <p>    বৈসাদৃশ্যযুক্ত যেসব জীবগোষ্ঠী বা পপুলেশন আন্ত প্রজননের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে জিনের আদান-প্রদান ঘটাতে সক্ষম তাদের একই প্রজাতির উপপ্রজাতি বলা হয়।</p> <p><strong>৯.  দ্বিপদ নামকরণ</strong></p> <p>জীবের নামকরণের আন্তর্জাতিক প্রথা অনুসারে প্রথমে গণের নাম এবং পরে প্রজাতির নাম ব্যবহার করে জীবদের যে নামকরণ করা হয় তাকে দ্বিপদ নামকরণ বলা হয়।</p> <p><strong>১০. ত্রিপদ নামকরণ </strong></p> <p>    জীবের নামকরণের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী গণ, প্রজাতি ও উপপ্রজাতি নামের তিনটি পদ ব্যবহার করে জীবের যে নামকরণ করা হয় তাকে ত্রিপদ নামকরণ বলা হয়।</p> <p><strong>১১. পলিপ </strong></p> <p>    Cnidaria-র জীবনচক্রের নিশ্চল দশাকে পলিপ বা অযৌন দশা বলে।</p> <p><strong>১২. মেডুসা </strong></p> <p>    Cnidaria-র জীবনচক্রের সাঁতারু বা সচল দশাকে মেডুসা বা যৌন দশা বলে।</p> <p><strong>১৩. সিলেন্টেরন</strong></p> <p>    Cnidaria পর্বের প্রাণীর দেহের অভ্যন্তরের যে লম্বাকার একটি গহ্বর বিদ্যমান থাকে তাকে সিলেন্টেরন বা গ্যাস্ট্রোভাস্কুলার গহ্বর বলে।</p> <p><strong>১৪. নিডোসাইট </strong></p> <p>    Cnidaria পর্বের প্রাণীর এপিডার্মিসে অবস্থিত নেমাটোসিস্ট বহনকারী, শিকার ধরা ও আত্মরক্ষায় সাহায্যকারী বিশেষ ধরনের কোষই হলো নিডোসাইট।</p>