<p><strong>সংখ্যার</strong> <strong>প্রকারভেদ</strong></p> <p>সংখ্যাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় :</p> <p><strong>১</strong><strong>. </strong><strong>বাস্তব</strong> <strong>সংখ্যা</strong></p> <p>২. অবাস্তব সংখ্যা</p> <p><strong>বাস্তব</strong> <strong>সংখ্যা</strong><strong> :</strong> যেসব সংখ্যার বাস্তব অস্তিত্ব আছে, তাদের বাস্তব সংখ্যা বলা হয়।</p> <p>যেমন ১, ২, ০, -২, ১/২, ০.২৩ ইত্যাদি।</p> <p><strong>অবাস্তব</strong> <strong>সংখ্যা</strong><strong> :</strong> যেসব সংখ্যার বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই, তাদের অবাস্তব সংখ্যা বলা হয়।</p> <p>যেমন   <img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/June/25-06-2017/kalerkantho_com-25-06-17-22.jpg" style="height:23px; width:40px" /></p> <p>আমরা জানি, ঋণাত্মক কোনো সংখ্যার বর্গমূলের কোনো অস্তিত্ব নেই। এ ধরনের সংখ্যাকে বলা হয় অবাস্তব সংখ্যা।</p> <p><strong>বাস্তব</strong> <strong>সংখ্যা</strong> <strong>আবার</strong> <strong>দুই</strong> <strong>প্রকার</strong> :</p> <p><strong>১</strong><strong>. </strong><strong>দশমিক</strong> <strong>সংখ্যা</strong><strong>;</strong> যেমন ১.২, ৩.৪, ১.৭৩৫২... ইত্যাদি।</p> <p><strong>২</strong><strong>. </strong><strong>পূর্ণ</strong> <strong>সংখ্যা</strong><strong>;</strong> যেমন -২, -১, ০, ১, ৫, ৭ ইত্যাদি।</p> <p><strong>স্বাভাবিক</strong> <strong>সংখ্যা</strong><strong> :</strong> শূন্যসহ সব পূর্ণসংখ্যাকে বলা হয় স্বাভাবিক সংখ্যা।</p> <p>যেমন ০, ১, ৩, ৬ ইত্যাদি।</p> <p><strong>ইনতেজার</strong><strong> :</strong> তবে স্বাভাবিক সংখ্যা ধনাত্মক বা ঋণাত্মক উভয় প্রকার হতে পারে। তখন এদের ইংরেজিতে Integer বলা হয়।</p> <p><strong>জটিল</strong> <strong>সংখ্যা</strong><strong> :</strong> বাস্তব সংখ্যা ও অবাস্তব সংখ্যার যোগফল অথবা বিয়োগফলকে বলা হয় জটিল সংখ্যা।</p> <p><strong>মূলদ</strong> <strong>ও</strong> <strong>অমূলদ</strong> <strong>সংখ্যা</strong><strong> :</strong></p> <p>যেসব সংখ্যাকে ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা যায়, তাদের বলা হয় মূলদ সংখ্যা।</p> <p>যেমন ১.২-কে ৬/৫ আকারে প্রকাশ করা যায়। সুতরাং ১.২ একটি মূলদ সংখ্যা।</p> <p>আবার, যেসব সংখ্যাকে ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা যায় না, তাদের বলা হয় অমূলদ সংখ্যা।</p> <p>যেমন  <img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/June/25-06-2017/kalerkantho_com-25-06-17-23.jpg" style="height:25px; width:55px" /> ইত্যাদি। তবে বর্গমূল ছাড়াও খুব সহজে অমূলদ সংখ্যা তৈরি করা যায়।</p> <p>যেমন ০.১০১০০১০০০১০০০০১০০০০০১...</p> <p>অর্থাৎ ভগ্নাংশ দিয়ে এটিকে প্রকাশ করা যাবে না। শুধু ১ নয়, যেকোনো অঙ্ক ব্যবহার করেই এ ধরনের অমূলদ সংখ্যা তৈরি করা যেতে পারে।</p> <p><strong>জোড়</strong> <strong>সংখ্যা</strong> <strong>ও</strong> <strong>বিজোড়</strong> <strong>সংখ্যা</strong><strong> :</strong> যেসব সংখ্যাকে ২ দ্বারা ভাগ করা যায়, তাদের বলা হয় জোড় সংখ্যা। অন্যদিকে যেসব সংখ্যাকে ২ দ্বারা ভাগ করা যায় না, তাদের বলা হয় বিজোড় সংখ্যা।</p> <p><strong>মৌলিক</strong> <strong>সংখ্যা</strong><strong> :</strong> যেসব সংখ্যাকে ওই সংখ্যা ও ১ ছাড়া অন্য কোনো সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায় না, তাদের বলা হয় মৌলিক সংখ্যা।</p> <p>যেমন ২, ৩, ৫, ৭ ইত্যাদি। ২ হলো একমাত্র জোড় মৌলিক সংখ্যা।</p>