<p style="text-align:center"><strong>সৃজনশীল প্রশ্ন</strong></p> <p style="text-align:center"><strong>ফেব্রুয়ারির গান</strong></p> <p> (১) উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :</p> <p>দোয়েল কোয়েল ময়না কোকিল</p> <p>সবার আছে গান</p> <p>পাখির গানে পাখির সুরে</p> <p>মুগ্ধ সবার প্রাণ।</p> <p>সাগর নদীর ঊর্মিমালার</p> <p>মন ভোলানো সুর</p> <p>নদী হচ্ছে স্রোতস্বিনী</p> <p>সাগর সমুদ্দুর।</p> <p>(ক) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ?</p> <p>কবির নাম কী?  ২</p> <p>(খ) কবিতাংশটিতে কয়টি পাখির কথা বলা হয়েছে? সবার প্রাণ কিভাবে মুগ্ধ হয়, দুটি বাক্যে লেখো।   ৩</p> <p>(গ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো।   ৫</p> <p>উত্তর :</p> <p>(ক) কবিতাংশটুকু ‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতার অংশ। কবির নাম লুত্ফর রহমান রিটন।</p> <p>(খ) কবিতাটিতে চারটি পাখির কথা বলা হয়েছে।</p> <p>দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও কোকিল এই পাখিগুলোর কণ্ঠে রয়েছে গান। এই পাখিগুলোর গানে ও সুরে অর্থাৎ কলকাকলিতে সবার মন-প্রাণ মুগ্ধ হয়।</p> <p>(গ) মূলভাব : দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও কোকিল পাখির কণ্ঠে রয়েছে গান। এই পাখিগুলোর গানে ও সুরে সবার মন আনন্দে ভরে যায়। সাগর ও নদীর ঢেউয়ের মধ্যেও একটা সুর রয়েছে। সেই সুর সবার মন ভোলায়। নদীর আরেক নাম স্রোতস্বিনী আর সাগর হচ্ছে সমুদ্দুরের অন্য নাম, এ দুটির সুরও মানুষের মন ভোলায়।</p> <p>(২) উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :</p> <p>ছড়ায় পাহাড় সুরের বাহার</p> <p>ঝরনা-প্রকৃতিতে</p> <p>বাতাসে তার প্রতিধ্বনি</p> <p>গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতে।</p> <p>গাছের গানে মুগ্ধ পাতা</p> <p>মুগ্ধ স্বর্ণলতা।</p> <p>ছন্দ-সুরে ফুলের সাথে</p> <p>প্রজাপতির কথা।</p> <p>(ক) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ? কবিতাটির কবির নাম কী?   ২</p> <p>(খ) ‘বাহার’ শব্দের অর্থ কী? বিভিন্ন ঋতুতে আমরা যে প্রতিধ্বনি শুনতে পাই তা দুটি বাক্যে লেখো।   ৩</p> <p>(গ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো।   ৫</p> <p>উত্তর : (ক) কবিতাংশটুকু ‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতার অংশ। কবিতাটির কবির নাম লুত্ফর রহমান রিটন।</p> <p>(খ) ‘বাহার’ শব্দের অর্থ সৌন্দর্য।</p> <p>পাহাড় ও ঝরনা প্রকৃতিতে সুরের বাহার ছড়িয়ে দেয়। আর গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত অর্থাৎ বিভিন্ন ঋতুতে আমরা বাতাসে তার প্রতিধ্বনি শুনতে পাই।</p> <p>(গ) মূলভাব : ‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতায় বিভিন্ন গান ও সুরের কথা বলা হয়েছে। পাহাড় আর ঝরনা প্রকৃতিতে সুরের বাহার ছড়িয়ে দেয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত ঋতুর বাতাসে সেই সুরই সর্বত্র প্রতিধ্বনিত হয়। গাছপালার গানে তার পাতা ও স্বর্ণলতা বিমুগ্ধ হয়। আর প্রজাপতি যেন ছন্দ-সুরে ফুলের সঙ্গে নানা কথা বলে যায়।</p> <p>(৩) উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :</p> <p>ফুল পাখি নই, নইকো পাহাড়</p> <p>ঝরনা সাগর নই</p> <p>মায়ের মুখের মধুর ভাষায়</p> <p>মনের কথা কই।</p> <p>বাংলা আমার মায়ের ভাষা</p> <p>শহিদ ছেলের দান</p> <p>আমার ভাইয়ের রক্তে লেখা</p> <p>ফেব্রুয়ারির গান।</p> <p>(ক) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ? কবিতাটির কবির নাম কী?   ২</p> <p>(খ) ‘মধুর’ শব্দের অর্থ কী? আমরা কেন মায়ের ভাষায় কথা বলি তা দুটি বাক্যে লেখো।     ৩</p> <p>(গ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো।   ৫</p> <p>উত্তর : (ক) কবিতাংশটুকু ‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতার অংশ। কবিতাটির কবির নাম লুত্ফর রহমান রিটন।</p> <p>(খ) মধুর শব্দের অর্থ মিষ্টি, সুমিষ্ট।</p> <p>আমরা জন্মের পর থেকে মায়ের কোলে পরম আদরে লালিত-পালিত হয়ে বড় হই। তাই আমরা মায়ের মুখের মধুর ভাষায় মনের কথা বলে থাকি।</p> <p>(গ) মূলভাব : ‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতায় বাংলা ভাষার প্রতি মমতা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা প্রকৃতির ফুল, পাখি, পাহাড়, ঝরনা অথবা সাগর নই। তাই ফুল পাখির ছন্দ-সুর অথবা পাহাড় ঝরনা-সাগরের মন ভোলানো সুর আমাদের কণ্ঠে নেই। আমরা মায়ের মুখের মিষ্টি মধুর ভাষায় হৃদয়ের ভাব প্রকাশ করি। এই ভাষা আমরা ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে পেয়েছি বলে ফেব্রুয়ারির গান তাদের রক্ত দিয়ে রচিত হয়েছে।</p> <p>শব্দদূষণ</p> <p> </p> <p>(৪) উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :</p> <p>গরু ডাকে, হাঁস ডাকে—ডাকে কবুতর</p> <p>গাছে ডাকে শত পাখি, সারা দিনভর।</p> <p>মোরগের ডাক শুনি প্রতিদিন ভোরে</p> <p>নিশিরাতে কুকুরের দল ডাকে জোরে।</p> <p>দোয়েল-চড়ুই মিলে কিচির মিচির</p> <p>গান শুনি ঘুঘু আর টুনটুনিটির।</p> <p>(ক) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ? কবিতাটির কবির নাম কী?   ২</p> <p>(খ) ‘কবুতর’ শব্দের একটি সমার্থক শব্দ লেখো। সারা দিনভর কী কী ডাকে দুটি বাক্যে লেখো।   ৩</p> <p>(গ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো।   ৫</p> <p>উত্তর : (ক) কবিতাশটুকু ‘শব্দদূষণ’ কবিতার অংশ। কবিতাটির কবির নাম সুকুমার বড়ুয়া।</p> <p>(খ) ‘কবুতর’ শব্দের একটি সমার্থক শব্দ হলো পায়রা।</p> <p>‘শব্দদূষণ’ কবিতায় বিভিন্ন পশু ও পাখির ডাকাডাকি করার কথা বলা হয়েছে। গরু, হাঁস, কবুতর ছাড়াও গাছে গাছে শত শত পাখি সারা দিন ডাকাডাকি করে।</p> <p>(গ) মূলভাব : সুকুমার বড়ুয়া রচিত ‘শব্দদূষণ’ কবিতার বিভিন্ন পশু ও পাখির ডাকাডাকির কথা বলা হয়েছে। হাঁস, কবুতরসহ নানা জাতের পাখি সারা দিন গাছে গাছে ডাকাডাকি করে। প্রতিদিন ভোরে মোরগের ডাক শুনে আমাদের ঘুম ভাঙে। গভীর রাতে কুকুরের দল জোরে জোরে ঘেউ ঘেউ করে ডাকে। দোয়েল ও চড়ুই পাখি মিলে কিচিরমিচির করে, মিষ্টি মধুর কণ্ঠে গান শোনায় ঘুঘু আর টুনটুনি পাখি।</p> <p>(৫) উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :</p> <p>শহরের পাতি কাক ডাকে ঝাঁকে ঝাঁকে</p> <p>ঘুম দেয়া মুশকিল হর্নের হাঁকে।</p> <p>সিডি চলে, টিভি চলে, বাজে টেলিফোন</p> <p>দরজায় বেল বাজে, কান পেতে শোন।</p> <p>গলিপথে ফেরিঅলা হাঁকে আর হাঁটে</p> <p>ছোটদের হই চই ইশকুল মাঠে।</p> <p>পল্লির সেই সুরে ভরে যায় মন।</p> <p>শহুরে জীবন জ্বালা - শব্দদূষণ।</p> <p>(ক) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ? কবিতাটির কবির নাম কী?   ২</p> <p>(খ) ‘মুশকিল’ শব্দের অর্থ কী? শহরে ঘুমানো মুশকিল কেন? দুটি বাক্যে লেখো। ৩</p> <p>(গ) কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখো।   ৫</p> <p>উত্তর :</p> <p>(ক) কবিতাংশটুকু ‘শব্দদূষণ’ কবিতার অংশ। কবিতাটির কবির নাম সুকুমার বড়ুয়া।</p> <p>(খ) ‘মুশকিল’ শব্দের অর্থ বিপদ বা ঝামেলা।</p> <p>শহরে ঝাঁকে ঝাঁকে পাতি কাক কা-কা করে উচ্চস্বরে ডাকতে থাকে। আর বিভিন্ন যানবাহনের হর্নের শব্দে শহরে ঘুম দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে।</p> <p>(গ) মূলভাব : সুকুমার বড়ুয়ার ‘শব্দদূষণ’ কবিতাটির আলোচ্য অংশে শহরে শব্দদূষণের কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। শহরে ঝাঁকে ঝাঁকে পাতি কাক ডাকাডাকি করে। যানবাহনের হর্নের হাঁক, সিডি, টিভি চলার শব্দ, টেলিফোন ও দরজার বেল বাজার আওয়াজে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং শব্দদূষণ ঘটে। এ ছাড়া শহরের গলিপথে ফেরিঅলা ফেরি করে জিনিসপত্র বিক্রির সময় উঁচু গলায় হাঁক দিয়ে যায় ও স্কুলের মাঠে ছোটরা দিনভর হৈচৈ করে। পল্লীর স্নিগ্ধ মিষ্টি সুরের তুলনায় শব্দদূষণের কারণে শহুরে জীবন যন্ত্রণাদায়ক।</p> <p> </p>