ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

জেএসসি প্রস্তুতি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

  • অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
তাহেরা খানম, সহকারী শিক্ষক, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর, ঢাকা
তাহেরা খানম, সহকারী শিক্ষক, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর, ঢাকা
শেয়ার
জেএসসি প্রস্তুতি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

বাঙালির সংস্কৃতি ও শিল্পকলা

 

১। সংস্কৃতি বলতে কী বোঝো?

উত্তর : মানুষের জীবন যাপন প্রণালির  সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিটি কাজ ও জিনিসই তার সংস্কৃতি।

মানুষ যেভাবে জীবন যাপন করে, যেসব জিনিস ব্যবহার করে, যেসব আচার-অনুষ্ঠান পালন করে, যা কিছু সৃষ্টি করে, সব নিয়েই তার সংস্কৃতি। যেমন—খাদ্য, বাসস্থান, তৈজসপত্র, যানবাহন, পোশাক, অলংকার, উৎসব, গীতবাদ্য, ভাষা-সাহিত্য সবই সংস্কৃতির অংশ।

২। টেরাকোটা শিল্প কী?

উত্তর : টেরাকোটা শিল্প হচ্ছে পোড়ামাটির নকশা।

মাটির ফলক বা পাত তৈরি করে তাতে ছবি উত্কীর্ণ করে পুড়িয়ে স্থায়ী রূপ দেওয়া হলে তাকে টেরাকোটা বা পোড়ামাটির শিল্প বলা হয়। দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে এভাবে পোড়ামাটির শিল্পকর্মে রামায়ণের বাহিনীসহ নানা সামাজিক জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে।

পাহাড়পুরের সোমপুর বিহারেও পোড়ামাটির প্রচুর কাজ আছে। এতে সেকালের সমাজ জীবনের ছবি পাওয়া যায়।

৩। তালপাতার পুঁথি সম্পর্কে কী জানো?

উত্তর : তালপাতার পুঁথি হচ্ছে তালপাতার ওপর লিখিত পুঁথি।

পালযুগে তালপাতার পুঁথিতে দেশীয় রং দিয়ে যেসব ছবি আঁকা হয়েছে, তার প্রশংসা আধুনিক কালের বিশ্বের শিল্পরসিকদের কাছ থেকেও পাওয়া যাচ্ছে। হাজার বছর পরেও ছবিগুলো চমত্কার ঝকঝকে রয়েছে। পুঁথিগুলো ছিল বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্রের।

৪। প্রাচীন বাংলার তাঁতশিল্প কেমন ছিল?

উত্তর : প্রাচীন বাংলার তাঁতশিল্প ছিল খুব সমৃদ্ধ।

বাংলার তাঁতশিল্পের সুনাম বহুকালের। প্রাচীন বাংলার দুকুল কাপড়ের বেশ খ্যাতি ছিল। কৌটিল্য বলেছেন, পুণ্ড্রদেশের (উত্তরবঙ্গ) দুকুল শ্যামবর্ণ এবং মণির মতো মসৃণ। দুকুল ছিল খুব মিহি আর ক্ষৌমবস্ত্র একটু মোটা। পত্রোর্ণ নামে এন্ডি বা মুগাজাতীয় সিল্ক তৈরি হতো মগধ ও পুণ্ড্রে। সেকালে এ দেশের দুকুল, পত্রোর্ণ, ক্ষৌম ও কার্পাস কাপড় বিদেশেও রপ্তানি হতো।

৫। নকশি কাঁথা কিভাবে বানানো হয়?

উত্তর : নকশি কাঁথা হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মহিলাদের হাতে সেলাই করা নকশাকৃত কাঁথা।

প্রাচীনকাল থেকে বাংলায় নকশি কাঁথা খুব সমাদৃত। গ্রামীণ মহিলারা ঘরে ঘরে কাঁথা সেলাই করে তাতে আশ্চর্য নিপুণতায় গল্পকাহিনী ও ছবি ফুটিয়ে তুলত। এখনো সমাজের দরিদ্র নারীরা এই শিল্পকর্মটি টিকিয়ে রেখেছেন।

৬। চর্যাপদ কী?

উত্তর : চর্যাপদ হচ্ছে বাংলার প্রাচীনতম সাহিত্যকর্ম। 

বাঙালির প্রথম যে সাহিত্যকর্মের সন্ধান পাওয়া যায় তা চর্যাপদ নামে পরিচিত। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রথম নেপালের রাজ দরবার থেকে এগুলো আবিষ্কার করেন। পরে ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চর্যাপদের কাল নির্ণয় করেন। তিনি গবেষণা করে জানান, প্রায় দেড় হাজার বছর আগে থেকে বৌদ্ধ সাধকরা এগুলো লিখেছেন। আদি বাংলা সাহিত্যের নমুনা চর্যাগীতির বিখ্যাত রচয়িতাদের মধ্যে ছিলেন লুইপা ও কাহ্নপা।

৭। বৈষ্ণব পদাবলী কী?

উত্তর : বৈষ্ণব পদাবলী হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার কাহিনী নিয়ে রচিত বিশেষ ধরনের গান।

সুলতানি আমলে শ্রীচৈতন্যের বৈষ্ণব ভাবধারার প্রভাবে বাংলায় কীর্তন গান রচনায় জোয়ার আসে। শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার কাহিনী নিয়ে এসব আবেগপূর্ণ গান রচিত হয়েছে। এগুলো বৈষ্ণব পদাবলী নামে পরিচিতি। বৈষ্ণব পদাবলীর বিখ্যাত পদকর্তাদের মধ্যে আছেন বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দ দাস প্রমুখ।

৮। মঙ্গলকাব্য কী?

উত্তর : দেশীয় দেব-দেবীকে নিয়ে রচিত কাব্যকাহিনী মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত।

একসময় বাংলায় দেশীয় দেব-দেবীকে নিয়ে নানা কাব্যকাহিনী রচিত হয়েছে। এগুলো মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত। মুকুন্দরামের চণ্ডীমঙ্গল, ঘনরামের ধর্মমঙ্গল, বিজয়গুপ্তের মনসামঙ্গল এ ক্ষেত্রে বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। এ ছাড়া ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল সেকালে বাংলার সমাজচিত্রে পাওয়া যায়।

৯। পুঁথিসাহিত্য কী?

উত্তর : পুঁথি সাহিত্য হচ্ছে পারস্য থেকে পাওয়া নানা কল্পকাহিনী ও রোমান্টিক আখ্যান নিয়ে রচিত কাব্য।

মুসলমান সমাজে পুঁথি      সাহিত্যের ব্যাপক কদর ছিল। পারস্য থেকে পাওয়া নানা কল্পকাহিনী ও রোমান্টিক আখ্যান নিয়ে এগুলো রচিত হতো। সেকালে বাড়ি বাড়ি পুঁথি পাঠের আসর বসত, অবার পুঁথি নকল করে সংরক্ষণও করা হতো। ইউসুফ-জুলেখা, লাইলি-মজনু, সায়ফুল মুলক-বদিউজ্জামান, জঙ্গানামা ইত্যাদি বিখ্যাত সব পুঁথির নাম। আলাওল রচিত পদ্মাবতী বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিশেষভাবে আলোচিত।

১০। মধ্যযুগে গদ্য সাহিত্য কিভাবে বিকশিত হয়?

উত্তর : মধ্যযুগে কয়েকজন বিখ্যাত সাহিত্যিকের হাতে গদ্য সাহিত্য বিকশিত হয়।

ইংরেজ আমলে ১৯ শতকে আমাদের দেশে বাংলা গদ্যের সূচনা হয়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ভিত গড়েছেন। বঙ্কিমচন্দ্র ও সমসাময়িক সাহিত্যিকরা যার ওপর সৌধ তুলেছেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে শোভন ও সুন্দর করে পূর্ণতা দিয়েছেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত, মীর মশাররফ হোসেন, দীনবন্ধু মিত্র প্রমুখ আধুনিক বাংলা সাহিত্য বিকাশে ভূমিকা রেখেছেন।

১১। বাংলায় নাগরিক গান কিভাবে বিকশিত হয়?

উত্তর : হিন্দুস্তানি উচ্চাঙ্গ সংগীতের প্রভাবে বাংলায় নাগরিক সংগীতের বিকাশ ঘটে।

উত্তর ভারতের সংস্পর্শে এসে হিন্দুস্তানি উচ্চাঙ্গ সংগীতের সঙ্গে বাঙালি সাধকদের পরিচয় ঘটে। তার প্রভাবে এখানে নাগরিক সংগীতের বিকাশ ঘটে। নিধুবাবু, কালী মির্জা প্রমুখ হয়ে রবীন্দ্রনাথের হাতে বাংলার নাগরিক গান উত্কর্ষের শীর্ষে পৌঁছায়। তাঁরই গান আজ আমাদের জাতীয় সংগীত—আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। এ গানের সুর তিনি নিয়েছেন বাউল গানের সুর থেকে। রবীন্দ্রনাথের পথ ধরে পরে আরো অনেকেই বাংলার নাগরিক গানকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম আপন স্বাতন্ত্র্যে ও বৈচিত্র্যে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। মাত্র কুড়ি বছরের সৃষ্টিশীল জীবনে তিনি প্রায় ছয় হাজারের মতো গান লিখেছেন। অতুল প্রসাদ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন প্রমুখও আধুনিক বাংলা গানের সমৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

১২। বাংলা একাডেমি কী?

উত্তর : বাংলা একাডেমি আধুনিক কালের বাংলার মানুষের মননচর্চা ও সৃজনশীলতা চর্চার কেন্দ্র।

আধুনিক কালের মানুষ মননচর্চা ও সৃজনশীলতা চর্চার জন্য নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে এবং ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলা একাডেমি। এটিকে জাতির মননের প্রতীক বলা হয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতির জন্য এ প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে আসছে।

১৩। শিল্পকলা একাডেমি কী?

উত্তর : বাংলার মানুষের চারুকলা ও সংগীত-নাটক-নৃত্য প্রভৃতি ললিতকলা চর্চার কেন্দ্র হচ্ছে শিল্পকলা একাডেমি।

চারুকলা ও সংগীত-নাটক-নৃত্য প্রভৃতি ললিতকলা চর্চার পৃষ্ঠপোষকতা, অবকাঠামোগত সুবিধা সৃষ্টি, গবেষণা ও প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সব জেলা শহরে এর শাখা আছে।

১৪। বাংলাদেশে মনন চর্চার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তর : বাংলাদেশে মনন চর্চার জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বিশ্বের যেকোনো উন্নয়নশীল দেশেই মনন চর্চার জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, গণগ্রন্থাগার প্রভৃতি। আর সাংস্কৃতিক নিদর্শন সংরক্ষণ, তা নিয়ে গবেষণা ও তা প্রদর্শনের জন্য রয়েছে জাতীয় জাদুঘর। বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি জাদুঘর রয়েছে। এ ছাড়া চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন বা জাতীয় উদ্যান, নভোথিয়েটার, বিজ্ঞান জাদুঘরসহ নানা প্রতিষ্ঠান এ দেশে গড়ে উঠেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও গড়ে উঠেছে এ ধরনের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। রাজশাহীর বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়াম, ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর—এ রকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পঞ্চম শ্রেণি : প্রাথমিক গণিত

    সোনিয়া আক্তার, সহকারী শিক্ষক, ধামদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : প্রাথমিক গণিত

পঞ্চম অধ্যায় : গুণিতক এবং গুণনীয়ক

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

৫।        গসাগু-এর পূর্ণ রূপ কী? 

  উত্তর : গসাগু-এর পূর্ণ রূপ হলোগরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক।

৬।        মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে?

  উত্তর : কোনো সংখ্যার গুণনীয়ক যদি ১ এবং শুধু ওই সংখ্যা হয়, তাহলে সংখ্যাটিকে মৌলিক সংখ্যা বলে।

৭।        গুণনীয়কের অন্য নাম কী?

  উত্তর : গুণনীয়কের অন্য নাম হলোউৎপাদক।

৮।        গুণিতক কাকে বলে?

  উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা দ্বারা যেসব সংখ্যাকে নিঃশেষে ভাগ করা যায় সেই সব সংখ্যার প্রত্যেককে ওই নির্দিষ্ট সংখ্যাটির গুণিতক বলে।

সহজভাবে বলা যায়, গুণিতক হলো পূর্ণসংখ্যার নামতা।     

৯।        ১ থেকে ১০-এর মধ্যে মৌলিক সংখ্যা কয়টি ও কী কী?

  উত্তর : ১ থেকে ১০ এর মধ্যে মৌলিক সংখ্যা ৪টি। যথা২, ৩, ৫, ৭।

১০।       ৫-এর গুণনীয়ক দ্বারা ৫ কে ভাগ করলে ভাগশেষ কত হবে?

  উত্তর : ৫-এর গুণনীয়ক দ্বারা ৫-কে ভাগ করলে ভাগশেষ ০ (শূন্য) হবে।

১১।       ৩৬-কে মৌলিক উৎপাদকে প্রকাশ করো।

  উত্তর : ৩৬-এর মৌলিক উৎপাদক হলো ২ x ২ x ৩ x ৩।

১২।       ১ কেন মৌলিক সংখ্যা নয়?

  উত্তর : ১ কোনো মৌলিক সংখ্যা নয়, কারণ এর একটি মাত্র গুণনীয়ক আছে, যা ১।

১৩।       দুটি মৌলিক সংখ্যার গসাগু কত?

  উত্তর : দুটি মৌলিক সংখ্যার গসাগু হলো ১।

১৪।       মৌলিক উৎপাদক কাকে বলে?

  উত্তর : প্রতিটি গুণনীয়ককে মৌলিক উৎপাদক বলা হয়।

১৫।       গুণিতক প্রয়োজন হয় কোন গাণিতিক প্রক্রিয়ার জন্য?

  উত্তর : লসাগু করার জন্য গুণিতকের প্রয়োজন হয়।

১৬।       যদি একাধিক সংখ্যার মৌলিক সাধারণ গুণনীয়ক না থাকে তাহলে তাদের লসাগু কী হবে?

  উত্তর : যদি একাধিক সংখ্যার মৌলিক সাধারণ গুণনীয়ক না থাকে তাহলে তাদের লসাগু হবে সংখ্যাগুলোর গুণফল।

১৭।       ৮ এর গুণনীয়ক কোনগুলো?

          উত্তর : ৮-এর গুণনীয়ক হলো ১, ২, ৪ ও ৮।

১৮।       যদি একাধিক সংখ্যার মৌলিক সাধারণ গুণনীয়ক না থাকে তাহলে তাদের গসাগু কত হবে?

    উত্তর : যদি একাধিক সংখ্যার মৌলিক সাধারণ গুণনীয়ক না থাকে তাহলে তাদের গসাগু হবে ১।

 

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র

    মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র

১। দালাল তার কাজের বিনিময়ে কী পায়?

  ক. মুনাফা খ. বেতন
গ. কমিশন ঘ. মজুরি

২। ভোগ্য পণ্যের বণ্টনপ্রণালী দীর্ঘ হওয়ার কারণ

  i. ক্রেতার সংখ্যা   
ii. ক্রেতার অবস্থান 
iii. পণ্যসম্ভার

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii খ. iiii   
গ.
iiiii   ঘ. i, iiiii

৩। কোন স্তরে কম্পানি গবেষণামূলক কাজ এবং বাজার সম্পর্কে জানার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে?

  ক. পণ্য উন্নয়ন স্তর  খ. সূচনা স্তর   
গ. প্রবৃদ্ধি স্তর  ঘ. পূর্ণতা স্তর

৪।

পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য কোনটি?

  ক. সীমিত লেনদেন  খ. কমঝুঁকি
গ. অধিক মূলধন    ঘ. ক্ষুদ্র সংগঠন

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৫ ও ৬ নম্বর  প্রশ্নের উত্তর দাও :

  আভা কম্পানি নিজস্ব কারখানায় বিভিন্ন ধরনের জুতা তৈরি করে। এরা নিজেদের কম্পানির জুতা দেশের বিভিন্ন বড় শহরগুলোতে নিজস্ব শোরুমের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে বিক্রয় করে। এর ফলে কম্পানির তুলনামূলক লাভ বেশি হয়।

৫।

আভা কোন ধরনের বিপণি?

  ক. বাট্টা  খ. পরিকল্পিত 
গ. বহু শাখা  ঘ. বিভাগীয়

৬। আভা কম্পানির লাভের কারণ হলো

  i. কম উপরি ব্যয়   
ii. মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের পরিহার

  iii. নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii খ. iiii   
গ.
iiiii   ঘ. i, iiiii

৭। স্বল্পকালীন বিক্রয় বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে কী বলে?

  ক. বিজ্ঞাপন   খ. বিক্রয় প্রসার 
গ. ব্যক্তিক বিক্রয়   ঘ. জনসংযোগ

৮। সুপার স্টোরের বৈশিষ্ট্য হলো

  i. ক্ষুদ্রায়তনের প্রতিষ্ঠান   
ii. বৃহদায়তনের প্রতিষ্ঠান

  iii. খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii খ. iiii   
গ.
iiiii   ঘ. i, iiiii

৯।

১০,০০০ টাকার পণ্য ক্রয় করলে ১০% ছাড়, এটা কোন ধরনের বাট্টা?

  ক. নগদ  খ. পরিমাণগত 
গ. মৌসুমি ঘ. সুবিধাদি

১০।       বাজারজাতকরণ কী?

  ক. পণ্য উৎপাদন  
খ. পণ্য ভোগ

  গ. পণ্যের ভ্যালু সৃষ্টি
ঘ. গ্রাহকদের সন্তুষ্টি বিধান

১১।       আধুনিক বিপণনের জনক কে?

  ক. Gary Armstrong   খ. Philip Kotter

  গ. H Fayol      ঘ. W J Stanton

১২।       বাজারজাতকরণে বাজার কিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত?

  ক. ক্রেতা  খ. স্থান 
গ. দ্রব্য   ঘ. বিক্রেতা

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৩ ও ১৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  কোরিয়ার নাগরিক আফনান চাকরি সূত্রে খুলনায় বসবাস করেন। তাঁর বাংলাদেশি সহকর্মীরা দুপুরে ভাত খেলেও তিনি ফাস্টফুড খান।

এ ছাড়াও নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের সঙ্গে তাঁর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

১৩।       আফনানের ভাতের পরিবর্তে ফাস্টফুড খাওয়া বাজারজাতকরণের কোন মৌলিক ধারণাটির প্রকাশ ঘটেছে?

  ক. অভাব খ. প্রয়োজন  
গ. চাহিদা ঘ. ক্রেতা-ভ্যালু

১৪।       আফনানের ফাস্টফুড খাওয়ার কারণ হলো

  i. নিজস্ব সংস্কৃতি   
ii. অভাব
iii. ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii খ. iiii   
গ.
iiiii   ঘ. i, iiiii

১৫।       অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন কত সালে প্রণয়ন করা হয়?

  ক. ১৯১১ খ. ১৯৫৬
গ. ১৯৬৪ ঘ. ১৯৮২

১৬।       বিক্রয়কর্মীর গৃহীত কলাকৗশলকে কী বলে?

  ক. বিক্রয়িকতা খ. ব্যক্তিক বিক্রয়
গ. বিক্রয় প্রসার    ঘ. বিক্রয় ব্যবস্থাপনা

 

  উত্তর : ১. গ ২. ঘ ৩. ক ৪. গ ৫. গ
৬. গ ৭. খ ৮. গ ৯. ক ১০. গ ১১. খ
১২. ক ১৩. ঘ ১৪. খ ১৫. খ ১৬. ক।

 

 

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

একাদশ অধ্যায় : জীবের প্রজনন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।        একলিঙ্গ ফুল কোনটি?

  ক. ঝিঙা খ. জবা
গ. মটর ঘ. ধান

২।        ফুলের কোনটি বাইরের দিক থেকে দ্বিতীয় স্তবক?

  ক. পুষ্পাক্ষ খ. বৃতি
গ. দলমণ্ডল   ঘ. পুংস্তবক

৩।        ধুতুরা ফুলের তৃতীয় স্তবক কোনটি?

  ক. Androecium    খ. Thalmus
গ. Gynoecium     ঘ. Calyx

৪।

       কোনটির পরাগদণ্ড বহুগুচ্ছ?

  ক. জবা খ. ধুতুরা
গ. শিমুল ঘ. সরিষা

৫।        নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতে কোনটির ভূমিকা নেই?

  ক. মূল প্রজাতি থেকে পৃথক হওয়া
খ. সংকরায়ণ
গ. ঘটনাক্রমে ক্রোমোজোমের সংখ্যা বৃদ্ধি
ঘ. স্ব-পরাগায়ণ

৬।        কোন প্রজাতির বিশুদ্ধতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

  ক. সরিষা খ. পেঁপে
গ. কুমড়া ঘ. ধুতুরা

৭।        পেঁপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

  i. একলিঙ্গ ফুল
ii. ভিন্নবাসী উদ্ভিদ
iii. সবৃন্তক ফুল

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i, iiiii

৮।

       পর-পরাগায়ণ হতে দেখা যায়

  i. শিমুল
ii. পেঁপে
iii. ধুতুরা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. র, iiiii

৯।        শেফালি রাস্তার পাশে প্রচুর ধুতুরা ফুল এবং শিমুল গাছের ফুল ছোট পাখি ঘুরে বেড়াতে দেখতে পেল। শেফালির দেখা গাছ দুটির মধ্যে ভিন্নতা হলো

  i. নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয়
ii. পরাগায়ণ নিশ্চিত
iii. প্রচুর পরাগরেণু নষ্ট হয়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i, iiiii

১০।       বায়ুপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য

  i. ফুল রঙিন ও মধুগ্রন্থিযুক্ত
ii. ফুল হালকা ও মধুগ্রন্থিহীন

  iii. গর্ভমুণ্ড আঠালো ও শাখান্বিত

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i, iiiii

১১।

      নিচের কোন ফুলটির গর্ভমুণ্ড আঠালো এবং শাখান্বিত?

  ক. সরিষা খ. ধান
গ. কদম ঘ. জবা

১২।       কোন ফুলে সুগন্ধ নেই?

  ক. গোলাপ   খ. রজনীগন্ধা
গ. সরিষা ঘ. পাতাশেওলা

 

  উত্তর : ১. ক ২. গ ৩. ক ৪. গ ৫. ঘ ৬. খ
৭. ঘ  ৮. ক ৯. ঘ ১০. গ ১১. খ ১২. ঘ।

 

 

 

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কম্পিউটারবিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) মাস্টার্স প্রোগ্রাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স প্রোগ্রামের এই কোর্সের মেয়াদ এক বছর ছয় মাস। ওপেন ক্রেডিট পদ্ধতিতে পাঠদান করা হবে। মোট ক্রেডিট ৩৬।

 

যোগ্যতা

প্রার্থীদের যেকোনো পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় (ইউজিসি অনুমোদিত) থেকে নির্ধারিত কয়েকটি বিষয়ে ন্যূনতম চার বছরমেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। বিষয়গুলো হচ্ছে সিএসই, সিএস, সিই, আইটি, ইইই, ইসিই, ইটিই, এসই, গণিত, পরিসংখ্যান ও পদার্থবিজ্ঞান। স্নাতক পরীক্ষায় ৪.০০ স্কেলে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.২৫ বা দ্বিতীয় বিভাগে শতকরা ৫৫ ভাগ নম্বর থাকতে হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ও শিক্ষাবর্ষের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।

 

ফি : ২৫০০ টাকা।

 

আবেদন

অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদনের শেষ তারিখ ২৭ জুলাই। প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষা ও ক্লাস

ভর্তি পরীক্ষা ১ আগস্ট। ক্লাস শুরু ১৭ আগস্ট। ক্লাস হবে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 

যোগাযোগ

কম্পিউটারবিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ঢাকা-১০০০

মোবাইল : ০১৭২১৮৭৯৬৫৫ (অফিস চলাকালীন)

ই-মেইল : office@cse.du.ac.bd

 

ওয়েবসাইট

msadmission.cse.du.ac.bd 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ