তাহেরা-বিনতে-রহমান, সিনিয়র শিক্ষক ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ বেইলি রোড, ঢাকা
৯ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১। নারী ও শিশু পাচার কী ধরনের কাজ?
উত্তর : নারী ও শিশু পাচার মানবাধিকারবিরোধী কাজ।
২। কাজের ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের মতো কী পায় না?
উত্তর : কাজের ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের মতো পারিশ্রমিক পায় না।
৩। মানবাধিকারগুলো আমরা কোথা থেকে পেয়ে থাকি?
উত্তর : পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা মানবাধিকারগুলো পেয়ে থাকি।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন :
১। অটিস্টিক শিশু কাকে বলে? অটিস্টিক শিশুর চারটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : অটিজম নামক বিকাশগত সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের অটিস্টিক শিশু বলে। অটিস্টিক শিশুর চারটি বৈশিষ্ট্য হলো—
ক) অটিস্টিক শিশুরা সব কাজ বা বিষয় একই নিয়মে করতে চায়। দৈনিক কাজের রুটিন বদল হলে খুবই উত্তেজিত হয়।
খ) কোনো একটি বিশেষ জিনিসের প্রতি তাদের প্রবল আকর্ষণ থাকে এবং সেটি সব সময় সঙ্গে রাখে।
গ) কোনো কোনো অটিস্টিক শিশু চমত্কার প্রতিভার অধিকারী হয়। যেমন—ছবি আঁকা, অঙ্ক করা বা গান গাওয়া।
ঘ) কোনো কোনো অটিস্টিক শিশু অন্য শিশুদের মতোই লেখাপড়া করতে পারে।
২। সমাজে শিশুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাঁচটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : সমাজে শিশুদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে দেখা যায়। যেমন—
ক) অনেক শিশু পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
খ) ১৮ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত-খামারে, ইটের ভাটায়, দোকানে, কলকারখানায় কাজ করা।
গ) পরিবারের সামর্থ্য না থাকায় বাইরের অনেক শিশু গৃহহীন।
ঘ) অনেক সময় সামান্য কারণে বা বিনা কারণে শিশুদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
ঙ) শিশুদের অনেক সময় বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়।
৩। নারী অধিকার লঙ্ঘনের পাঁচটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : বিভিন্ন কারণে সমাজে নারী অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। এগুলোর মধ্যে পাঁচটি উদাহরণ হলো—
ক) মেয়েরা ছেলেদের মতো শিক্ষার সমান সুযোগ পায় না।
খ) চাকরির ক্ষেত্রেও মেয়েরা পিছিয়ে থাকে।
গ) কাজের ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের মতো সমান পারিশ্রমিক পায় না।
ঘ) বাড়িতে কাজে সহায়তাকারীরা যথাযথ পারিশ্রমিক, খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা পায় না।
ঙ) বাড়িতে কাজে সহায়তাকারীদের অনেক সময় আমাদের দেশ থেকে অন্য দেশে পাচার করে দেওয়া হয়।
৪। কোন প্রতিষ্ঠান কখন মানবাধিকারকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে?
উত্তর : জাতিসংঘ মানবাধিকারকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার বলে। মানবাধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্র’ অনুমোদন করে। এ ঘোষণাপত্র অনুযায়ী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, নারী-পুরুষ, আর্থিক অবস্থাভেদে বিশ্বের সব মানুষের এই অধিকারগুলো আছে।
৫। শিশুশ্রমের কারণে শিশুরা কোন অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হয়?
উত্তর : বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে কোনো শিশুকে কাজে নিয়োজিত করা হলে তা শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য হবে। শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। বিভিন্ন কারণে শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। শিশুশ্রমের কারণে শিশুরা যেসব অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, সেগুলো হলো—
ক) শিশুশ্রমের কারণে শিশুরা শিক্ষাগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
খ) সামান্য কারণে বা বিনা কারণে শিশুদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়।
গ) খাদ্য, পোশাক, চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
ঘ) খেলাধুলা ও বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
ঙ) অনেক শিশুকে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়। এটি মানবাধিকারবিরোধী কাজ।
৬। মানবপাচার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কোনো অনৈতিক কাজ বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যখন মানুষকে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়, তখন তাকে মানবপাচার বলা হয়। আমাদের দেশে সাধারণত নারী ও শিশুদের বিদেশে পাচার করা হয়। মানবপাচার একটি গর্হিত ও মানবাধিকারবিরোধী কাজ। এটি রোধে আমাদের সবারই সচেতন হওয়া উচিত।
৭। আমাদের জীবনে মানবাধিকারের প্রয়োজনীয়তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার বলে।
আমাদের জীবনে মানবাধিকারের প্রয়োজনীয়তা পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো—
ক) মানবাধিকার মানুষের জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
খ) লেখাপড়া শিখে যোগ্যতা ও মর্যাদার সঙ্গে সমাজে বসবাসের সুযোগ করে দেয়।
গ) মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত হতে সাহায্য করে।
ঘ) মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরি করে।
ঙ) সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে।
স্বাধীন ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকা এবং সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য তাই মানবাধিকারের বিকল্প নেই।
৮। তোমার বিদ্যালয়ে একজন অটিস্টিক শিশু রয়েছে। তাকে চেনার জন্য ওই শিশুটির তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো। তার সঙ্গে তুমি কিরূপ ব্যবহার করবে—তা দুটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : আমার বিদ্যালয়ে অটিস্টিক শিশুটিকে চেনার তিনটি উপায় হলো—
ক) একাকী চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে।
খ) সব কাজ বা বিষয় একই নিয়মে করতে চায়।
গ) অন্যের স্পর্শে আঁতকে ওঠে।
আমার বিদ্যালয়ের অটিস্টিক শিশুটির প্রতি আমি যেরূপ ব্যবহার করব।
ক) এমন কোনো আচরণ করব না, যাতে সে কষ্ট পায় বা উত্তেজিত হয়।
খ) তার পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারে খেয়াল রাখব।
৯। সিয়াম শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও দৈনিক রুটিন বদল হলে খুবই উত্তেজিত হয়। সে কোন সমস্যায় আক্রান্ত। এ ধরনের শিশুদের কিভাবে স্বাভাবিক জীবনে অভ্যন্ত করা সম্ভব? এ ধরনের শিশুদের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : সিয়াম অটিজম নামক একটি বিকাশগত সমস্যায় আক্রান্ত। এ ধরনের শিশুদের সমস্যার ধরনগুলো জেনে সঠিক যত্ন ও শিক্ষার মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত করা সম্ভব। অটিস্টিক শিশুদের তিনটি বৈশিষ্ট্য—
ক) কোনো কোনো অটিস্টিক শিশু অন্য শিশুদের মতোই লেখাপড়া করতে পারে।
খ) কোনো একটি বিশেষ জিনিসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে এবং সেটি সব সময় সঙ্গে রাখে।
গ) কোনো কোনো অটিস্টিক শিশু চমত্কার প্রতিভার অধিকারী হয়। যেমন—ছবি আঁকা, অঙ্ক করা বা গান গাওয়া।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের