<p>সৃজনশীল প্রশ্ন (নমুনা)</p> <p>উদ্দীপকগুলো পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর</p> <p>উত্তর দাও :</p> <p>     ক বিভাগ (গদ্য)</p> <p>১।   বাঙালি জাতি মূলত জ্ঞান ও প্রেমশক্তির ধারক। কিন্তু আলস্য এ জাতিকে দুর্বল করে রেখেছে। এ আলস্যকে উপেক্ষা করে আজ জেগে উঠতে হবে। তবেই জাগবে প্রাণ। আর প্রাণে প্রাণে জাগবে সত্য ও কল্যাণময় শক্তির আলো।</p> <p>     (ক) নজরুলের রচনাবলি কোন চেতনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত?    ১</p> <p>     (খ) ‘আমাদের মাতৃভূমি পৃথিবীর স্বর্গ, নিত্য সর্বৈশ্বর্যময়ী’—বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২</p> <p>     (গ) উদ্দীপকটি ‘বাঙালির বাংলা’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ—তা ব্যাখ্যা করো।    ৩</p> <p>     (ঘ) ‘প্রাণে প্রাণে জাগবে সত্য ও কল্যাণময় শক্তির আলো।’ এ বাক্যটি ‘বাঙালির বাংলা’ প্রবন্ধানুসরণে বিশ্লেষণ করো।     ৪</p> <p>২।   ব্যাগভর্তি আশি হাজার টাকা পেয়েও গরিব রিকশাচালক রহিম মিয়া রসুলপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ব্যাগটি জমা দিয়ে জানায় যে—যাঁর ব্যাগ তিনি এই স্কুলেই তাঁর ছেলের বেতন দেবেন বলে তাড়াহুড়া করে ব্যাগটা রিকশায় ফেলেই নেমে গেছেন। প্রকৃত মালিকের হাতে যেন টাকার ব্যাগটি পৌঁছে সে জন্য রহিম প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ জানায়।</p> <p>     (ক) ডবল টিনের ক্যাশ বাক্সটা কোথায় লুকিয়ে রাখা হলো?   ১</p> <p>     (খ) সে বছর লেখকদের নদীতে কিরূপ বন্যা এসেছিল? বর্ণনা দাও।  ২</p> <p>     (গ) উদ্দীপকের রহিম মিয়াকে কোন যুক্তিতে বিধুদের সঙ্গে তুলনা করা যায়? বুঝিয়ে লেখো।   ৩</p> <p>     (ঘ) উদ্দীপকটি ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের শিক্ষণীয় দিকটিকে প্রতিনিধিত্ব করে—বিশ্লেষণ করো।     ৪</p> <p>৩।   কৃষক গণি মিয়ার বড় ছেলে ফটিক ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে সে কবিরাজের কাছ থেকে পানি পড়া এনে খাওয়ায় এবং তাবিজ দরজায় ঝুলিয়ে রাখে। বাড়ির সবাইকে সাবধান করে বলে খোঁড়া কোনো প্রাণী দেখলে যেন তাড়িয়ে দেয়। তার ধারণা, ডেঙ্গুজ্বর খোঁড়া প্রাণীর রূপ ধরে বাড়িতে আসে। কিন্তু গণি মিয়ার অষ্টম শ্রেণিতে পড়া ছোট ছেলে রবিন বাবার ধারণা ভুল প্রমাণ করতে তার বিজ্ঞান বইয়ের ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উদাহরণ দেয়।</p> <p>     (ক) পরাশর ডাক্তার নিজের প্রকাণ্ড লাইব্রেরিতে বসে কী করছিলেন?    ১</p> <p>     (খ) নগেনের দাদা মশাইয়ের আমলের লাইব্রেরিটি কিরূপ ছিল? ২</p> <p>     (গ) উদ্দীপকের গণি মিয়ার ধারণাটি ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের যেদিকটি ফুটিয়ে তুলেছে, তা ব্যাখ্যা করো।     ৩</p> <p>     (ঘ) রবিন আর ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের পরাশর ডাক্তারকে আধুনিক মানসিকতার অধিকারী বলা যায় কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।    ৪</p> <p>৪।   খ বিভাগ (কবিতা)</p> <p>     ১. সার্থক জনম আমার/জন্মেছি এই দেশে।</p> <p>     সার্থক জনম মাগো/ তোমায় ভালোবেসে।</p> <p>     জানিনে তোর ধন রতন/ আছে কিনা মায়ের মতন</p> <p>     শুধু জানি, আমার অঙ্গ/ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে।</p> <p>     ২. রেখো মা, দাসেরে মনে, এ মিনতি করি পদে।</p> <p>     সাধিতে মনের সাধ/ ঘটে যদি পরমাদ</p> <p>     মধুহীন করো না গো/ তব মনঃ কোকনদে।</p> <p>     (ক) মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত পত্র কাব্যের নাম কী?     ১</p> <p>     (খ) কবি বর প্রার্থনা করেন কেন?   ২</p> <p>     (গ) কবিতাংশ দুটিতে কী অমিল লক্ষ করা যায়?     ৩</p> <p>     (ঘ) দ্বিতীয় উদ্ধৃতাংশে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার মূলভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ পেয়েছে কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।  ৪</p> <p>     ৫। রিকশাচালক রমিজের একার আয়ে সংসার চলে না বলে স্ত্রী আকলিমা অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করে যা পায়, তা দিয়ে সংসারে সহযোগিতা করে। তাদের বড় মেয়ে রেবেকার বিয়ের প্রস্তাব এলে রমিজ বলে—‘এ ব্যাপারে আমার স্ত্রীর মতামত নিতে হবে।’</p> <p>     (ক) নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? ১</p> <p>     (খ) ‘সে যুগ হয়েছে বাসি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?     ২</p> <p>     (গ) উদ্দীপকের রমিজ যে কারণে স্ত্রীর মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে তা ‘নারী’ কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা করো।    ৩</p> <p>     (ঘ) উদ্দীপকের মূল বক্তব্যে কাজী নজরুল ইসলামের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি ফুটে উঠেছে—উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।  ৪</p> <p>     ৬। গ্রামের ছেলে মেহেদী হাসান বাজারে অনলাইন সেবা প্রদানের জন্য একটি কম্পিউটারের দোকান দিয়েছে। দোকানে সেবা পেতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দবির মিয়া এ অবস্থা দেখে বলল, এর আগে অনলাইনে সেবা প্রদানে আমার ছেলে ফেল মেরেছে আর তুমি তো সেদিনের ছেলে। এ কথা শুনে মেহেদী দমে যায়।</p> <p>     (ক) কামিনী রায় রচিত ছোটদের কবিতা সংগ্রহের নাম কী?   ১</p> <p>     (খ) ‘সংশয়ে সংকল্প সদা টলে কেন?’</p> <p>     ২</p> <p>     (গ) মেহেদী হাসানের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণ ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩</p> <p>     (ঘ) মেহেদীর মানসিক দৃঢ়তা থাকলেই সে সফল হতো ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতার আলোকে মূল্যায়ন করো।</p> <p> </p> <p>সৃজনশীল প্রশ্ন (উত্তরসহ)</p> <p>     উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :</p> <p>     নবাব সিরাজদ্দৌলা ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দায়িত্ব দেন সেনাপতি মীর জাফর আলী খানকে। নবাব তাঁর ওপর আস্থা রাখেন। এ সুযোগে মীর জাফর ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের সৈন্যদের নিষ্ক্রিয় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার আদেশ দেন। কিন্তু সৈন্যরা তাঁর আদেশ অমান্য করে যুদ্ধ চালিয়ে গেলেও পতন হয় নবাবের। পলাশীর আম্রকাননে প্রায় ২০০ বছরের জন্য অস্তমিত হয়ে যায় বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য। এর পর থেকেই ইতিহাসে ঘৃণিত নাম মীর জাফর।</p> <p>     ক. ‘কিশোর কাজি’ গল্পের উৎস কী?</p> <p>     উত্তর : ‘কিশোর কাজি’ গল্পের উৎস আরব্য উপন্যাস।</p> <p>     খ. নাজিমের স্ত্রী কখন জলপাই খাবার ব্যাপারে আর অমত করল না?</p> <p>     উত্তর : গল্পের বণিক আলী কোজাই মক্কায় হজ করতে যাওয়ার সময় তার সঞ্চিত অর্থগুলো একটি কলসিতে রেখে তা জলপাই দিয়ে পূর্ণ করে বিশ্বস্ত বন্ধু নাজিমের কাছে আমানত রেখে যায়। একদিন নাজিমের স্ত্রী খেতে বসে তার জলপাই খাওয়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করলে নাজিম সেই কলসি থেকে জলপাই নিতে বলে। তার স্ত্রী পরের আমানতে হাত দিতে নিষেধ করলে নাজিম নতুন জলপাই কিনে কলসিটি ভরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিলে তার স্ত্রী আর অমত করল না।</p> <p>     গ. উদ্দীপকটিতে ‘কিশোর কাজি’ গল্পের নাজিম চরিত্রের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে, তা ব্যাখ্যা করো।</p> <p>     উত্তর : উদ্দীপকটিতে ‘কিশোর কাজি’ গল্পের নাজিম চরিত্রের বিশ্বাসঘাতকতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।</p> <p>     আলী কোজাই বিশ্বাস করে তার সঞ্চিত সব অর্থ কলসিতে রেখে ওপরে জলপাই দিয়ে ঢেকে বন্ধু নাজিমের কাছে রেখে যায়। নাজিম কলসিটি জলপাইয়ে পরিপূর্ণ জেনে দুই বছর পরে একদিন তার স্ত্রী জলপাই খাবার ইচ্ছা প্রকাশ করলে ভাড়ার ঘর থেকে কলসিটি বের করে এনে দেখে যে সব জলপাই পচে গেছে। নিচে ভালো থাকতে পারে ভেবে সে কলসি উপুড় করে দেখে রাশি রাশি সোনার মোহর। লোভ সামলাতে না পেরে নাজিম সব মোহর তার সিন্দুকে তুলে রেখে বাজার থেকে এক ঝুড়ি টাটকা জলপাই কিনে কলসিতে ভরে রাখে। আলী কোজাই মক্কা থেকে ফিরে কলসিটি বাড়ি নিয়ে দেখে মোহরের বদলে শুধু টাটকা জলপাই। নাজিমকে সে কথা জানিয়ে মোহর ফেরত চাইলে সে মোহরের কথা অস্বীকার করে বন্ধুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে।</p> <p>     উদ্দীপকের মীর জাফরও নবাবের বিশ্বাস ও সরলতার সুযোগ নিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির সঙ্গে হাত মেলায়। উদ্দীপকের মীর জাফরকে নবাব যেমন বিশ্বাস করেছিলেন, গল্পের আলী কোজাইও তেমনি বন্ধু নাজিমকে বিশ্বাস করেছিল। কিন্তু সে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।</p> <p>     ঘ. “উদ্দীপকটি ‘কিশোর কাজি’ গল্পের মূল উপজীব্য নয়।” মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই করো।</p> <p>     উত্তর : ‘কিশোর কাজি’ গল্পের মূল উপজীব্য—একজন কিশোরের কাজি সেজে বিচারকাজ পরিচালনা করে প্রকৃত মালিককে তার সোনার মোহর ফিরিয়ে দেওয়া।</p> <p>     আলী কোজাই নাজিমের কাছে জলপাইয়ের কথা বলে কলসিতে যে মোহর রেখে গিয়েছিল নাজিম তা আত্মসাৎ করে। মক্কা থেকে ফিরে বন্ধুর কাছ থেকে কলসি বাড়িতে নিয়ে আলী প্রকৃত ঘটনা বুঝতে পারে।</p> <p>     এক রাতে খলিফা হারুন-অর-রশিদ ছদ্মবেশে বেড়াতে বেরিয়ে দেখলেন কয়েকজন বালক মিলে আলী কোজাই ও নাজিমের বিচারের খেলা খেলছে। খলিফা দেখলেন যে একজন কিশোর কাজি সেজে সুন্দরভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করে আলীকে তার মোহর ফেরত দিল। বিচার দেখে খলিফা বিস্মিত হলেন এবং পরদিন সেই বালকদের তাঁর দরবারে বিচারকার্যে বসালেন। কিশোর কাজি বিচারকের আসনে বসে এক বালককে জলপাই ব্যবসায়ী সাজিয়ে জানতে চায়—জলপাই যত্নে রাখলে কত দিন ভালো থাকে, আর কলসির জলপাইগুলো কত দিন আগের। বালক ব্যবসায়ী জলপাই পরীক্ষার ভান করে জানায় যে জলপাইগুলো মাত্র মাসখানেক আগের। এ ঘটনা থেকেই নাজিমের মিথ্যাচারিতা ধরা পড়ে এবং নাজিম তার দোষ স্বীকার করে আলীকে মোহরগুলো  ফিরিয়ে দেয়।</p> <p>     এ আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট— গল্পের মূল উপজীব্য কিশোরের কাজি সেজে বিচারকার্য পরিচালনা, মোহর আত্মসাৎ করে বিশ্বাস ভঙ্গ করা নয়।</p>